সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের কর্মচারীকে মারধরের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সুনামগঞ্জ পৌরসভার প্যানেল মেয়র হোসেন আহমেদ রাসেলকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। সোমবার বিকেলে সুনামগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেলাল উদ্দিন আদালতে হাজির হলে বিচারক তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
জানা যায়, কয়েক মাস আগে জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের কর্মচারী জাকারিয়া তার ছোটবোনের বিয়ের কাঠের আসবাবপত্র পৌর শহরের ষোলঘর এলাকার একটি ফার্নিচারের দোকান থেকে ক্রয় করেন। আসবাবপত্র ট্রাকে তোলার সময় রাস্তায় সামান্য যানজটের সৃষ্টি হলে সুনামগঞ্জ পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র হোসেন আহমদ রাসেল ট্রাক চালককে গালিগালাজ করেন এবং একপর্যায়ে মারধরও শুরু করেন। তখন জাকারিয়া এগিয়ে গেলে তাকেও মারধর শুরু করেন কাউন্সিলর হোসেন আহমদ রাসেল। পরে জাকারিয়াকে পৌরসভায় নিয়ে আবার মারধর করেন কাউন্সিলর রাসেল। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হলে প্যানেল মেয়র হোসেন আহমেদ রাসেল হাইকোর্ট থেকে জামিন নেন। তবে জামিনের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর তিনি হাজিরা না দেওয়ায় আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। সোমবার সুনামগঞ্জ চিফ জুডিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে আদালত তা নামঞ্জুর করে রাসেলকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
এব্যাপারে কোর্ট পরিদর্শক আশিক সুজা মামুন বলেন, হাইকোর্ট থেকে নেওয়া জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় প্যানেল মেয়র হোসেন আহমেদ রাসেলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। সোমবার তিনি আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন চাইলে আদালত তা নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
Leave a reply