পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারণা, আটক ১

|

কুমিল্লা ব্যুরো:

পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিচয়ে নানা শ্রেণি পেশার মানুষের সাথে প্রতারণার অভিযোগে ফখরুদ্দিন মোহাম্মদ আজাদ নামে এক প্রতারককে আটক করেছে পুলিশ। ডজনখানিক ভুক্তভোগী মানুষের অভিযোগে ঢাকার খিলগাঁও এলাকা থেকে ওই প্রতারককে আটক করা হয়।

ফখরুদ্দিন মোহাম্মদ আজাদ কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার হরিচর ইউনিয়নের বাকুই গ্রামের মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে। সেই ঢাকা খিলগাঁও এলাকায় আনসার কোয়ার্টারের পাশে খিলগাঁও আবাসিক এলাকায় থাকতেন।

মঙ্গলবার কুমিল্লা পুলিশ কার্যালয়ে জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ফখরুদ্দিন জানায়, ১৯৯১ সালে সাব ইন্সপেক্টর পদে যোগদান করার পর শিক্ষানবিশ অবস্থাতেই এক লাখ ২৫ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণের অপরাধে তার চাকুরী চলে যায়। এরপর ২০০০ সালে সে ডিবি পরিচয় ছিনতাইকালে তৎকালীন ডিএমপি ডিবি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়। তারপর থেকে সেই পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নাম-পরিচয় ব্যবহার করে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণার মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে। তার আটকের সংবাদ পেয়ে ইতোমধ্যে প্রতারিত ব্যক্তিরা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে যোগাযোগের শুরু করে।

প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি আরও জানান, প্রতারক ফখরুদ্দিন কখনও ডিআইজি, পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবার কখনও সহকারী পুলিশ সুপার পরিচয় দিয়ে আসছেন। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার পরিচয় দিয়ে মানুষের দুর্বলতার সুযোগ কাজে লাগিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। সর্বশেষ কনস্টেবল নিয়োগে কুমিল্লায় চাকরি দেওয়ার কথা বলে আশফাক আহমেদ নামে এক প্রার্থীর পিতাকে ডিআইজি চট্টগ্রাম রেঞ্জের স্বাক্ষরিত নকল চিঠি দেখিয়ে কুমিল্লা পুলিশ সুপার সংশ্লিষ্ট প্রার্থীকে নিয়োগের জন্য ইন্সপেক্টর জেনারেল এবং স্বরাষ্ট্র সচিবকে উল্লেখ করে।

পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেন, প্রতারক ফখরুদ্দিন মোহাম্মদ আজাদ এবং তার গাড়ি চালক পুলিশের কাছে আটক রয়েছে। তবে ফখরুদ্দিনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

প্রেস ব্রিফিংয়ে এসময় উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবদুল্লাহ-আল মামুন, সাখাওয়াত হোসেন, প্রতারক ফখরুদ্দিনকে আটকে নেতৃত্বে থাকা সদর সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তানভীর সালেহীন ইমন।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply