কথায় আছে রাখে আল্লাহ মারে কে। এই প্রবাদ বাক্যটি সঠিক হয়ে গেল রংপুরের তারাগঞ্জে বাসুর বানদায়। ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় মা মারা গেলেও বেঁচে গেছে একদিন বয়সের সন্তানটি।
তারাগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের এসআই সাইফুল ইসলাম যমুনা নিউজকে জানান, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের গিলাবাড়ী গ্রামের সাজু মিয়ার (৩০) স্ত্রী সাথী আক্তার (২৫) মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিজ বাড়িতে একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। শিশুটি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার কারণে আজ বুধবার সকালে একটি এ্যাম্বুলেন্স যোগে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দিকে আসছিলেন ওই দম্পতি। সাথে ছিলেন তার শাশুড়ি ও মামাতো ভাই রব্বানী রহমান।
সকাল পৌনে আটটায় রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের তারাগঞ্জের বাছুরবান্দা এলাকায় ঢাকা থেকে আসা ডিপজল পরিবহন এর একটি নাইট কোচের সামনের চাকা পাংচার হয়ে গেলে সেটি দুলতে থাকে। এতে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় ওই এ্যাম্বুলেন্স এর সাথে। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান সাথী আক্তার ও তার মামাতো ভাই রব্বানী রহমান। গুরুতর আহত অবস্থায় মা ও স্বামী সাজুসহ চালককে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করায় পুলিশ।
এসআই সাইফুল ইসলাম আরও জানান, সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান এ্যাম্বুলেন্স চালক রুবেল মিয়া। এখনো হাসপাতলে আছে একদিনের ওই কন্যা শিশু। সাথে চিকিৎসাধীন আছেন কন্যা শিশুটির বাবা সাজু মিয়া ও নানি।
নিহত সাথী আক্তারের মামাতো ভাই সোহেল মিয়া জানান, সাথী আক্তার এর চার বছরের একটি কন্যা সন্তান আছে। সাথী আক্তারের স্বামী সাজু মিয়া কৃষি কাজের পাশাপাশি নসিমন পরিবহন ব্যবসার সাথে জড়িত।
হাসপাতলে শিশুটির পাশে এখন আছেন নিহত সাথী আক্তার এর মামাতো বোন রিক্তা। তিনি যমুনা নিউজকে জানান, একদিনের এই বাচ্চাটি এখন শুধু ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছে সে হয়তো বুঝবে না মা নামের সেই শব্দটি। শিশু বাচ্চাটিকে আমরা কিভাবে লালন পালন করব সেটাই এখন আমাদের দেখার বিষয়।
Leave a reply