স্টাফ রিপোর্টার,নেত্রকোনা:
আমিন, আমিন, ধ্বনিতে মুখরিত টঙ্গীর তুরাগ নদীর পাড়ে বিশ্ব ইজতেমার সাথে তাল মিলিয়ে নেত্রকোনা সদর উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের নন্দীপুর গ্রামে রবিবার সকাল ১১টায় আখেরই মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়েছে তিন দিন ব্যাপী মিনি মহিলা ইজতেমা।
নন্দীপুর গ্রামের ধর্মপ্রাণ তাবলীগ জামাত কর্মী ইসমত আলী প্রতি বছর বিশ্ব ইজতেমায় যোগদান করে এলাকায় এসে মুসলমানদের কাছে ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা গ্রহণ ও ঈমান আখলাখ আমল করার দাওয়াত দিতেন। তারই পরামর্শে তার স্ত্রী তারা বানু আজ থেকে ৩৮ বছর পূর্বে নিজ বাড়ীতে আশপাশের মহিলাদের নিয়ে মহিলা ইজতেমা শুরু করেন। দিন দিন এর প্রসার লাভ করে। তার মৃত্যুর পর মায়ের আদেশে তার ছেলে আলী উছমান জাকারিয়া নিজ উদ্যোগে প্রতি বছর মহিলা ইজতেমার আয়োজন করে আসছে।
মহিলা ইজতেমায় নেত্রকোনা, ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ শেরপুর, জামালপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতি বছর হাজার হাজার মহিলা যোগদান করেন।
গত শুক্রবার জুমা নামাজের মধ্য দিয়ে মহিলা ইজতেমা শুরু হয়। তিন দিন ব্যাপী ইজতেমায় আম বয়ান করেন ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার নূর নাহার বেগম, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলার পারভীন আক্তার, নেত্রকোনা সদর উপজেলার, মদনপুর গ্রামের হাসফুন্নাহার বেগম, অনন্তপুর গ্রামের মনোয়ারা বেগম, গাড়া গ্রামের জেসমিন আক্তার, তিয়শ্রী গ্রামের খাদিজা আক্তার ও আটপাড়া উপজেলার সামছুন্নাহার বেগম।
মিনি মহিলা ইজতেমায় মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, সহমর্মিতা, ভ্রাতৃত্ববোধ, সুখ শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে আখেরই মোনাজাত পরিচালনা করেন মহিলা ইজতেমার মুরব্বী জেসমিন আক্তার।
ইজতেমার আয়োজক আলী উছমান জাকারিয়া মহিলা ইজতেমায় আগত মহিলাদের অজু, গোসল ও পয়ঃনিস্কাশনের জন্য প্রয়োজনীয় পানীয় জল, পর্যাপ্ত টয়লেট ও ইবাদত বন্দেগী করার জন্য অবকাঠামো নির্মাণের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসন, জেলা পরিষদসহ সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
Leave a reply