কারাগার থেকে পালিয়ে গেল সন্ত্রাসী কার্যক্রমের অভিযোগে সাজাপ্রাপ্ত ৭৫ বন্দি।
চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে ব্রাজিল সীমান্তের নিকটবর্তী দেশ প্যারাগুয়ের পেড্রো জুয়ান ক্যাবালেরো শহরে। খবর বিবিসির
বিবিসি জানিয়েছে, পালিয়ে যাওয়া বন্দিদের বেশিরভাগই ব্রাজিলের সবচেয়ে বড় সংগঠিত ক্রিমিন্যাল গ্যাং দ্য ফার্স্ট কমান্ড অব দ্য ক্যাপিটালের (পিপিসি) সদস্য।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, কারাগার থেকে বাইরে বের হওয়ার একটি গোপন সুড়ঙ্গ দিয়ে এসব দুর্ধষ সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
যদিও বন্দিদের অধিকাংশই প্রধান ফটক দিয়ে পালিয়েছে দাবি কারা কর্তৃপক্ষের।
তাদের পালানোতে বেশ কয়েকজন কারারক্ষী জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। কারা কর্তৃপক্ষের এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত করে কারা অভ্যন্তরে একটি গোপন সুড়ঙ্গের সন্ধান পান তদন্তকারী কর্মকর্তারা।
এ বিষয়ে সরকার পক্ষের বক্তব্য, কারারক্ষীরা বন্দিদের পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছেন। আর সে কথা ধামাচাপা দিতেই এ সুড়ঙ্গ তৈরি করে ঘটনা ভিন্ন দিকে প্রবাহের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
রোববারই প্যারাগুয়ের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইউক্লিডস অ্যাসিভেডো বলেন, ‘আমরা এ ঘটনায় একটি সুড়ঙ্গের সন্ধান পেয়েছি। কিন্তু আমরা মনে করি এটি বন্দিদের পালিয়ে যেতে সাহায্য করার ঘটনাকে ধামাচাপা দেয়ার প্রচেষ্টা মাত্র।’
এদিকে এ ঘটনায় ওই কারাগারের সব কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত ও গ্রেফতারের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে প্যারাগুয়ের স্প্যানিশ ভাষার একটি পত্রিকা।
পত্রিকাটি বলছে, ঘটনার তদন্ত রিপোর্টপ্রাপ্তির পর দেশটির আইনমন্ত্রী সেসিলিয়া পেরেজ এবিসি কার্ডিনাল রেডিওকে বলেন, ‘ওই কারাগারের দ্বিতীয় তলার বন্দিরাও পালিয়েছেন। তদন্ত রিপোর্টে আমরা সেই সেলটি খোলা অবস্থায় পেয়েছি। একজন বন্দিকে পালাতে সহযোগিতা করলে বিনিময়ে ৮০ হাজার মার্কিন ডলার নেয়া হয়েছে বলে তথ্য পেয়েছি আমরা।’
প্রসঙ্গত, ব্রাজিলের ক্রিমিন্যাল গ্যাং দ্য ফার্স্ট কমান্ড অব দ্য ক্যাপিটাল (পিপিসি) সাও পাওলোভিত্তিক একটি সংগঠন। প্রায় ৩০ হাজার সদস্য রয়েছে এদের।
ব্রাজিল সীমান্ত দিয়ে সংগঠনটি প্রতিবেশী দেশ প্যারাগুয়ে, বলিভিয়া ও কলম্বিয়ায় অস্ত্র ও মাদক পাচার করে থাকে গোয়েন্দা তথ্যে উঠে এসেছে।
Leave a reply