নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় বসুরহাট বাজারে রফিক হোমিও হল নামের দোকান থেকে স্পিরিট পান করে ৬ জনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ দাফন করায় ৩ মাস ২৫ দিন পর ৪ জনের লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।
সোমবার ও মঙ্গলবার এ লাশগুলো কবর থেকে উত্তোলন করা হয়।
লাশগুলো হল উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়নের মোহাম্মদনগর গ্রামের ফয়েজ আহম্মদের ছেলে ড্রাইভার মহিন উদ্দিন (৪০), একই ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড বাগানবাড়ীর পার্শ্বে মৃত রইসুল হকের ছেলে সবুজ (৪৫), চরকাঁকড়া ইউনিয়নের মৃত আবদুল আজিজের ছেলে মুক্তিযোদ্ধা আবদুল খালেক (৭০) ও বসুরহাট পৌরসভা ৮নং ওয়ার্ডের মৃত আবদুর রহমানের ছেলে রাইটার ওমর ফারুক লিটনের (৫০)।
লাশ উত্তোলনের পর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রোকনুজ্জামান খান ও মামলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কোম্পানীগঞ্জ থানার এসআই মো. আনোয়ার হোসেনের উপস্থিতিতে সুরতহাল তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে মামলাটি সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে নোয়াখালীর আদালত কবর থেকে উত্তোলনক্রমে ময়নাতদন্ত সম্পন্নের জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রোকনুজ্জামান খানকে নিয়োগ প্রদান করে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও নোয়াখালী জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে আদেশ প্রদান করা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে বসুরহাটে রেকটিফায়েড স্পিরিট পান করে নূরনবী মানিক, ওমর ফারুক লিটন, রবি লাল দে, মো. সবুজ, মহিন উদ্দিন ড্রাইভার ও মুক্তিযোদ্ধা আবদুল খালেকসহ ৬ জন মারা যান।
নূরনবী মানিক ও রবি লাল দের লাশের ময়নাতদন্ত শেষে দাফন ও সৎকার করা হয়েছিল। অপর ৪ জনের ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফন করা হয়। আদালতের নির্দেশে তাদের লাশ উত্তোলন করার বিষয়ে নোয়াখালীর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদেশ দিয়েছেন।
স্পিরিট পানে ৬ জনের মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত রফিক হোমিও হলের মালিক কথিত হোমিও ডাক্তার সৈয়দ জাহেদ উল্যাহ ও তার ছেলে সৈয়দ মিজানুর রহমান প্রিয়ম নোয়াখালী কারাগারে আটক রয়েছেন।
Leave a reply