আহমেদ নাসিম আনসারী, ঝিনাইদহ
ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার কুমার নদের নাগিরাট ঘাটে একটি ব্রিজের অভাবে ৫০ গ্রামের মানুষের দির্ভোগ দেখা দিয়েছে। নাগিরাট বাজারে একটি ব্রিজ নির্মাণ হলে এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়নসহ জনগণের দুর্ভোগ কমবে বলে এলাকাবাসীরা দীর্ঘ দিন দাবি জানিয়ে আসছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, নাগিরাট বাজারে বর্তমানে একটি খেয়া ঘাট রয়েছে। বর্ষা মৌসুমে জনসাধারণ নদী পারাপারের জন্য নৌকা থাকলেও বর্তমানে পানি কম থাকার কারণে স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ জনসাধারণ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বর্তমানে বাঁশের সাঁকো দিয়ে নদী পারাপার হচ্ছে। বর্ষা মৌসুমে পানিতে নদী পরিপূর্ন হলে খেয়া নৌকা ছাড়া পার হবার কোন উপায় থাকেনা। প্রতি দিন এই ঘাট দিয়ে স্কুল,কলেজ,বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীসহ হাজার হাজার জনসাধারণ নদী পার হয়। এরআগে এই ঘাট দিয়ে খেয়া নৌকা পার হতে গিয়ে মৃত্যেুর ঘটনা ঘটেছে একাধিকবার। জনসাধারণের মালামাল নিয়ে পার হতে হিসশিম খেতে হয়, রীতিমত গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে ঘাটটিতে ব্রিজ না থাকায়। এইঘাট দিয়ে নদীর উত্তরে দামুকদিয়া, মাধবপুর, দোহা-নাগিরাট, শিতালী, দলিলপুর, আওদা, কমলনগর, বগুড়া, লাঙ্গলবাঁধ, নন্দিরগাতি, ধাওড়া, ধলহরাচন্দ্র চরধলহরা, বরিয়া,ছাঁইভাঙ্গা, কুশবাড়িয়া, পাইকেনপাড়া,সহ আরো বেশকিছু গ্রাম এবং দক্ষিণে রয়েড়া, আড়ুয়াকান্দি, ভান্ডারীপাড়া, বকশীপুর, শেখড়া, গোপালপুর, বাগুটিয়া, নাকোইল, ফলিয়া, রঘুনন্দনপুর, আশুরহাট, মনোহরপুর, নিত্যানন্দপুর, সাবাসপুর, হাটফাজিলপুর সহপ্রায় ৫০ গ্রামের লোকজন পার হয়।
ব্রীজ না থাকায় পন্য পরিবহন ব্যয় বেড়েছে, ১ মণ মালামাল বাজারজাত করতে পরিবহন খরচ হয় ৫০-৬০ টাকা । অথচ ব্রিজ হলে তা ২০ টাকায় বাজারজাত করা সম্ভব বলে মনে করে ভুক্তভোগীরা।
নাগিরাট গ্রামের মো: নজরুল ইসলাম বলেন, কৃষি অধ্যুষিত প্রায় ৪০-৫০ গ্রামের লোকজন চলাফেরা করে এই ঘাট দিয়ে, তাই জরুরি হয়ে পড়েছে নাগিরাট ঘাটে একটি ব্রিজ।
মাধবপুর গ্রামের ডা: মাসুদ ও তাপস বলেন, নাগিরাট বাজারে একটি ব্রিজ এখন সময়ের দাবি। এখানে একটি ব্রিজ হলে অবহেলিত ৪০-৫০ গ্রামের মানুষ উপকৃত হবে।
এলাকাবাসীরা নাগিরাট বাজারের খেয়া ঘাটে একটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানান।
Leave a reply