ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের সবশেষ গণতন্ত্র সূচকে ৮ ধাপ অগ্রগতি হয়েছে বাংলাদেশের। বিশ্বের ১৬৫টি দেশ ও দুটি ভূখণ্ডের এই সূচকে গত বছর ৮৮-তম অবস্থানে থাকলেও এ বছর বাংলাদেশের অবস্থান ৮০-তম। বুধবার ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট এই গণতন্ত্র সূচক প্রকাশ করেছে। এই প্রতিষ্ঠানটি স্বনামধন্য ব্রিটিশ সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্ট ম্যাগাজিনের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
২০০৬ সাল থেকে এই সূচক প্রকাশ করে আসছে ইন্টেলিজেন্স ইউনিট। পাঁচটি মানদণ্ডে এই সূচক করা হয়। এগুলো হলো- নির্বাচন ব্যবস্থা ও বহুদলীয় পরিস্থিতি, সরকারে সক্রিয়তা, রাজনৈতিক অংশগ্রহণ, রাজনৈতিক সংস্কৃতি এবং নাগরিক অধিকার। প্রতি সূচকের পূর্ণমান ধরা হয় ২। মোট মান ১০।
সূচকে মিলিয়ে কোনও দেশের গড় স্কোর ৮-এর বেশি হলে সেই দেশে ‘পূর্ণ গণতন্ত্র’ রয়েছে বলে বিবেচনা করা হয়। স্কোর ৬ থেকে ৮ এর মধ্যে হলে সেটাকে চিহ্নিত করা হয় ‘ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্র’ হিসেবে, আর স্কোর ৪ থেকে ৬-এর মধ্যে হলে ‘মিশ্র শাসন’ (হাইব্রিড রেজিম) ধরে নেওয়া হয়। স্কোর ৪-এর নিচে হলে সে দেশে ‘স্বৈরশাসন’ চলছে বলে ধরা হয়।
আট ধাপ অগ্রগতি হলেও সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান গতবারের মতোই মিশ্র ক্যাটাগরিতে। মূল্যায়নের ১০ পয়েন্টের মধ্যে এবার বাংলাদেশের স্কোর ৫.৮৮। ২০১৯ সালে এই স্কোর ছিল ৫ দশমিক ৫৭। তার আগের বছর ছিল ৫ দশমিক ৪৩।
মিশ্র ক্যাটাগরির বৈশিষ্ট্য হিসেবে ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট যে পয়েন্টগুলো উল্লেখ করেছে সেগুলো হলো- যেখানে নিয়মিত নির্বাচন হলেও তা অবাধ ও নিরপেক্ষ হয় না, বিরোধী দল এবং বিরোধী প্রার্থীদের ওপর দমন পীড়ন, দুর্নীতি এবং দুর্বল আইনের শাসনের ভিত্তিতে শাসনকার্য, দুর্বল নাগরিক সমাজ, পক্ষপাতমূলক বিচারব্যবস্থা ও সংবাদমাধ্যমের সীমিত স্বাধীনতা।
Leave a reply