নাগরিকত্ব প্রমাণের পরই ঘরে ফিরতে পারবে রোহিঙ্গারা। সু চি প্রশাসনের এমন শর্তে হতাশ, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা মানুষগুলো। এদিকে, প্রত্যাবাসন ইস্যুতে নতুন করে জটিলতা সৃষ্টি করেছে রোহিঙ্গাদেরই দেয়া চার দফা দাবি। যদিও শর্তগুলোকে ভিত্তিহীন বলছেন প্রত্যাবাসন আন্দোলনের নেতারা।
মিয়ানমারে জাতিগত নিধনের শিকার রোহিঙ্গাদের ঠিকানা এখন কক্সবাজারের ক্যাম্পগুলো। নিবন্ধিত-অনিবন্ধিত প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গার বাস এই জনপদে। এখনো অনিয়মিত স্রোতে বাংলাদেশে আসছে আশ্রয়প্রার্থীরা। ইতিহাসের অন্যতম বড় এই শরণার্থী স্রোতে হতবাক বিশ্ববিবেক। দাবি উঠেছে, অসহায় মানুষকে ঘরে ফেরানোর।
শুরুতে অনীহা থাকলেও সবপক্ষের চাপে ক্রমশ সুর নরম হয় সু চি প্রশাসনের। রোহিঙ্গাদের রাখাইনে ফেরানোর উদ্যোগে সাড়া দেয় নেইপিদো। কিন্তু ঘরে ফিরতে হলে নাগিরকত্ব প্রমাণের খবরে হতাশ রোহিঙ্গারা। সম্প্রতি, রোহিঙ্গাদের তরফ থেকে দেয়া চার দফা দাবি প্রত্যাবাসন ইস্যুতে নতুন জটিলতা সৃষ্টি করেছে। এই দাবির স্বপক্ষে কথা বলছেন অনেক রোহিঙ্গা।
তবে, এই দুই দেশের মধ্যে চুক্তির পর রোহিঙ্গাদের শর্ত আরোপকে ভিত্তিহীন বলছেন রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন আন্দোলনের নেতারা। রোহিঙ্গা প্রতিরোধ ও প্রত্যাবাসন সংগ্রাম কমিটির প্রতিষ্ঠাতা মাহমুদুল হক চৌধুরী বলেন, এসব দাবিগুলো শেখানো বুলি, রোহিঙ্গাদের কেউ শিখিয়ে দিচ্ছে। শরণার্থী ক্যাম্পগুলোতে যেসব এনজিও কাজ করছে তাদের কাজ তদারকি করতে হবে।
প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার সাথে সম্পৃক্ত সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের নাগরিক, সুতরাং সেদেশের সরকারের শর্ত মেনে তাদের ফেরত পাঠানোর কাজ চলছে।
কক্সবাজারের উখিয়ার ইউএনও নিকারুজ্জামান বলেন, তারা মিয়ানমারের নাগরিক। ফলে, তাদের ফিরিয়ে নিতে হবে। আমরা রোহিঙ্গাদের আলাদা নিবন্ধনের ব্যবস্থা করেছি। তাদের আলাদা আইডি কার্ড দেয়া হচ্ছে।
সবকিছু ঠিক থাকলে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজারের কর্মকর্তারা।
যমুনা অনলাইন: টিএফ
Leave a reply