একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য করে আলোচনায় আসাটাই যেন অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছেন বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এই শীতেও সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদীদের কেউ মারা যাচ্ছে না কেনো, এমন প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। তার কথা, নোটবন্দির সময় লাইনে দাঁড়িয়ে কত মানুষ মারা গিয়েছেন। কেন শাহিনবাগে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদীদের কেউ মারা যাচ্ছেন না! সূত্র: এনডিটিভি।
কলকাতা প্রেস ক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে তিনি বলেন, আমাকে সবথেকে বেশি অবাক করেছিল দু-তিন ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়েই কারও কারও মারা যাওয়ার ঘটনায়। কিন্তু এখন ৪-৫ ডিগ্রির কম তাপমাত্রায় বসে রয়েছে নারী ও শিশুরা। কিন্তু কেউই মারা যাচ্ছে না! কোন অমৃত আছে ওদের কাছে? আমি বিস্মিত! কোন উদ্দীপনা কাজ করছে ওদের মধ্যে?
তিনি আরও বলেন, এটা আমাকে অবাক করছে। লোকজন শাহিনবাগে দিন-রাত শিশু ও মহিলাদের প্রতিবাদ দেখে বিস্মিত। কেউ আবার বলছে ওদের দৈনিক ৫০০ টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। এটা হতেও পারে, নাও হতে পারে।
শাহিনবাগের আন্দোলনের প্রায় একমাস হতে চলল। এই আন্দোলন থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে মুম্বাইয়েও শুরু হয়েছে আন্দোলন। বিরোধীদের মতে, এই আইন মুসলিমদের জন্য বৈষম্যমূলক এবং এটি সংবিধানের বর্ণিত ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তির পরিপন্থী।
এর আগেও বিতর্কিত মন্তব্য করে ঝড় তুলেছিলেন দিলীপ ঘোষ। বলেছিলেন, যে ‘পরজীবীরা’ প্রয়োজনীয় কাগজ না দেখানোর কথা বলছে, তাদের জনতার সামনে মুখ দেখাতে লজ্জা পাওয়া উচিত। উত্তরপ্রদেশ, অসম ও কর্নাটকে প্রতিবাদীদের উদ্দেশে গুলি চালানোরও প্রশংসা করেন দিলীপ ঘোষ। বলেন, এই প্রতিবাদীদের ‘কুকুরের মতো’ গুলি করে মারা উচিত।
Leave a reply