ইরানের প্রধান নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে ইসরাইল-ফিলিস্তিনিদের সংঘাতের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্টের তৈরি শান্তি পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়েছে এবং সব মুসলিম দেশ এটির বিরোধিতা করেছে।
খামেনি ফার্সি ভাষায় এক টুইটে লেখেন, ফিলিস্তিনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের পৈশাচিক ও জঘন্য নীতি ‘শতাব্দীর চুক্তি’ নামে অভিহিত হবে না…সব মুসলিম জাতি তাদের মুখোমুখি হবে এবং তা বাস্তবায়িত হতে দেবে না।
মঙ্গলবার মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির জন্য চূড়ান্ত চুক্তি প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আশি পাতার প্রস্তাবটি বাস্তবিক দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধান হবে জানিয়ে আলোচনার ভিত্তিতে ইসরাইলও এতে একমত হয়েছে বলে তিনি জানান।
হোয়াইট হাউসে দখলদার ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আজ (মঙ্গলবার) শান্তির জন্য ইসরাইল এক বড় পদক্ষেপ নিয়েছে। আমি টুকটাক কাজ করার জন্য কিংবা বড় সমস্যাগুলো এড়িয়ে যাওয়ার জন্য নির্বাচিত হইনি।
জেরুজালেম হবে ইসরাইলের অবিভক্ত রাজধানী। কিন্তু শহরটির পশ্চিমাংশ ফিলিস্তিনিদের সম্ভাব্য রাজধানী হতে পারে।
শান্তি পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে, অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরাইলের অবৈধ বসতিকে ইহুদি রাষ্ট্রটির অংশ বলে স্বীকৃতি। ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ সম্ভাব্যতার প্রস্তাবে বর্তমান আকারের দ্বিগুণেরও বেশির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু কোনো ভূখণ্ডের কথা তা পরিষ্কার করে উল্লেখ করা হয়নি।
কিন্তু এই শান্তি পরিকল্পনা ঘোষণার সময় ফিলিস্তিনি পক্ষের কোনো নেতার উপস্থিতি দেখা যায়নি। প্রকাশের আগেই ট্রাম্পের এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন ফিলিস্তিনিরা।
এই প্রস্তাবের পক্ষে আরব দেশগুলোর সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করছেন মার্কিন কর্মকর্তারা। মঙ্গলবার ট্রাম্পের সংবাদ সম্মেলনে সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও ওমানের রাষ্ট্রদূতরা উপস্থিত ছিলেন।
যদিও শান্তি চেষ্টা বাস্তবায়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সৌদি আরব, মিসর ও জর্ডানের কোনো প্রতিনিধিকে সেখানে দেখা যায়নি।
Leave a reply