খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আগামী শনিবার ঢাকায় সমাবেশসহ দু’দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। মঙ্গলবার রাতে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপির যৌথসভার পর এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
কর্মসূচির মধ্যে আছে- ৭ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও সুস্বাস্থ্য কামনায় দেশব্যাপী বাদ জুমা মসজিদে মসজিদে দোয়া মাহফিল এবং ৮ ফেব্রুয়ারি শনিবার দুপুর ২টায় ঢাকায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ ও সারা দেশে জেলা সদরে বিক্ষোভ সমাবেশ। খালেদা জিয়া কারাগারে থাকার দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে এই কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। এছাড়া এ উপলক্ষে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনগুলো পোস্টার ও লিফলেট প্রকাশ করবে।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুযারি জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার সাজায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে যান খালেদা জিয়া। গত বছরের ১ এপ্রিল অসুস্থ হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে কেবিন ব্লকের একটি কেবিনে চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি।
বিএসএমএমইউতে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থায় উদ্বেগ প্রকাশ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, খালেদা জিয়াকে সরকার দুই বছর সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে সাজা দিয়ে আটকে রেখেছে। তার ওপর নির্যাতন চালানো হয়েছে। তার মুক্তির দাবিতে ও নির্যাতনের প্রতিবাদে আমরা এই কর্মসূচি গ্রহণ করেছি।
আমরা দাবি জানাচ্ছি, অবিলম্বে দেশনেত্রীকে মুক্তি দেয়া হোক ও তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হোক। আমরা আশঙ্কা করছি সরকার অত্যন্ত হীন উদ্দেশ্যে অসুস্থ খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। আমরা পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই, দেশনেত্রীর স্বাস্থ্যের যেকোনো অবণতির জন্য এই সরকারকে সব দায়-দায়িত্ব গ্রহণ করতে হবে। জনগণের আদালতে তাদের একদিন দাঁড়াতে হবে।
মির্জা ফখরুলের সভাপতিত্বে যৌথসভায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, প্রচার সম্পাদক শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, তাইফুল ইসলাম টিপু, মুনির হোসেন, মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, উত্তরের তুহিনুল ইসলাম তুহিন, যুবদলের সাইফুল ইসলাম নীরব, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, সুলতানা আহমেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের আবদুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, ওলামা দলের শাহ নেছারুল হক, নজরুল ইসলাম তালুকদার, সেলিম রেজা, জাসাসের শায়রুল কবির খান, জাকির হোসেন রোকন, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ অংশ নেন।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে রাজপথে আরও সোচ্চার হওয়া প্রয়োজন বলে অনেকে মতামত দেন। এই মুহূর্তে তার মুক্তিকেই দলের প্রধান এজেন্ডা করে দলীয় নেতাকর্মীর পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে আন্দোলনে সম্পৃক্ত করার ওপর জোর দেন উপস্থিত নেতারা।
Leave a reply