সেমিফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ভারতের কাছে পাত্তাই পেল না পাকিস্তান। ব্যাটে বলে ব্যর্থ পাকিস্তান। তাদের ১০ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ভারত।
আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি ফাইনাল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে। তার আগে বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড। সেই ম্যাচে যারা জিতবে তারা ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে ট্রফির লড়াইয়ে অংশ নেবে।
মঙ্গলবার দক্ষিণ আফ্রিকার সেনোস পার্কে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩৪ রানে ২ উইকেট হারিয়ে প্রাথমিক চাপে পড়ে যায় পাকিস্তান। তৃতীয় উইকেটে অধিনায়ক রোহেল নাজিরের সঙ্গে ৬২ রানের জুটি গড়ে প্রাথমিক ধকল সামাল দেন ওপেনার হায়দার আলী।
দুই উইকেটে ৯৬ রান করা পাকিস্তান এরপর চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে যায়। ইনিংসের শুরু থেকে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে যাওয়া হায়দার আলী ৭৭ বলে ৯টি চারের সাহায্যে ৫৬ রান করে ফেরেন। তার বিদায়ের পর পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরা ছিলেন আসা-যাওয়ার মিছিলে।
পাকিস্তানের কিংবদন্তি ক্রিকেটার ওয়াসিম আকরামের ছেলে কাসিম আকরাম ফেরেন ১৬ বলে ৯ রান করে। টি-টোয়েন্টির আদলে ব্যাটিং করে ১৫ বলে এক চার আর এক ছক্কায় ২১ রান করে ফেরেন মোহাম্মদ হারিস। ৯ বলে মাত্র ৩ রানে ফেরেন ইরফান খান। ২ রানে আউট হন আব্বাস আফ্রিদি।
দলের ব্যাটিং বিপর্যয়ে হাল ধরা অধিনায়ক রোহেল নাজির অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরার আগে ১০২ বল খেলে ৬টি চারের সাহায্যে করেন ৬২ রান। ১০ বলে ২ রানে ফেরেন তাহির হোসেন, ৬ বলে ১ রান করেন মোহাম্মদ আমির খান। নিয়মিত উইকেট পতনের কারণে ৪৩.১ ওভারে ১৭২ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান।
টার্গেট তাড়া করতে নেমে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে ভারতের জয় নিশ্চিত করেন দুই ওপেনার ইয়েসবি জয়েসওয়াল ও দিবাংশ সাকসেনা। দলকে জয় উপহার দিতে একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে সেঞ্চুরি তুলে নেন জয়েসওয়াল। ভারতীয় এ তরুণ ওপেনার ১১৩ বল খেলে ৮ চার ও ৪টি ছক্কায় সর্বোচ্চ ১০৫ রান করেন।
এছাড়া ৯৯ বল খেলে ৬টি চারের সাহায্যে ৫৯ রান করেন অন্য ওপেনার সাকসেনা। জয়েসওয়াল ও সাকসেনার অনবদ্য ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ওভারের ৮৮ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
পাকিস্তান: ৪৩.১ ওভারে ১৭২/১০ (রোহেল নাজির ৬২, হায়দার আলী ৫৬, হারিস ২১; সুশান্ত মিশ্রা ৩/২৮)।
ভারত: ৩৫.২ ওভারে ১৭৬/০ (জয়েসওয়াল ১০৫*, সাকসেনা ৫৯*)।
ফল: ভারত ১০ উইকেটে জয়ী।
Leave a reply