গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় যৌতুক না দেয়ায় নির্যাতন করে এক গৃহবধূর মাথা ন্যাড়া করে ঘরে আটকে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে।
৯ ফেব্রুয়ারি রবিবার সকাল ১০ টার দিকে উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের ফরিদপুর গ্রামের সাইম আহমেদ এর বাড়িতে ঘটে এ ঘটনা। ওই গৃহবধূর নাম মুন্নী আক্তার (২২)। তার স্বামীর নাম সাইম আহমেদ।
পাঁচ বছর পূর্বে উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের শিমুলতলা গ্রামের মজিবর রহমানের মেয়ে মুন্নি আক্তার এর সঙ্গে বিয়ে হয় একই উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের ফরিদপুর এলাকার বাসিন্দা সালেহ আহমেদ এর পুত্র সাইম আহমেদের সাথে। তাদের দাম্পত্য জীবনে মোয়াজ্জিম নামে আড়াই বছরের একজন পুত্রসন্তান রয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে এবং মুন্নি জানান, বিবাহের কিছুদিন পর হতেই মুন্নি আক্তার স্থানীয় অটো স্পিনিং এ চাকরি করে বেতনের সমস্ত টাকা স্বামী সাইমের হাতে তুলে দিতো। পুত্র মোয়াজ্জিম জন্ম নেয়ার মাসখানেক পর থেকে স্বামী সাইম দুই লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে বিভিন্ন সময়ে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন। কিন্তু মুন্নির দরিদ্র বাবা মজিবুর রহমানের যৌতুকের টাকা দেওয়ার মতো সামর্থ্য না থাকায় সন্তানের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে মুন্নি আক্তার নির্যাতন সহ্য করে আসছিলো। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৯ ফেব্রুয়ারি রবিবার সকাল আনুমানিক ১০ টার দিকে পূর্বের দাবীকৃত যৌতুকের দুই লক্ষ টাকা আনতে বলে স্বামী সাইম। মুন্নি অপারগতা প্রকাশ করলে স্বামীসহ তার পরিবারের লোকজন তাকে মারধর করে ব্লেড দিয়ে মাথা ন্যাড়া করে ঘরে আটকে রাখে। পরে ১২ ফেব্রুয়ারি বুধবার স্বামী বাড়িতে না থাকায় কৌশলে সন্তানসহ পিতার বাড়িতে চলে আসেন মুন্নি। পিতা কে সমস্ত ঘটনা জানানোর পর সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে আপস-মীমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে সুবিচারের আশায় থানায় অভিযোগ করেন।
অভিযুক্তরা হলেন, স্বামী সাইম আহমেদ(২৬) পিতাঃ সালেহ আহমেদ। মাতা জাহানারা বেগম (৪৫) স্বামী সালেহ আহমেদ। আতাবুর রহমান(৪২) হাবিবুর রহমান (৩৮) উভয় পিতা আব্দুল আজিত।
এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক এসআই এখলাছ উদ্দিন বলেন, মামলার এজাহার ভুক্ত তিন নম্বর আসামি আতাবুর রহমানকে গ্রেফতার করে আদালতে পেরণ করা হয়েছে। বাকী অভিযুক্তকারিদের আটকের জন্য অভিযান চলছে।
Leave a reply