সিরিয়ায় আইএসবিরোধী অভিযানে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রশক্তিদের জন্য পাঠানো প্রায় ৭১.৫৮ কোটি ডলারের অস্ত্র ও যুদ্ধ সরঞ্জামের কোন হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। বড় ওই অস্ত্রের চালান পাঠানো হলেও সঠিকভাবে জায়গামতো পৌঁছায়নি বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ ‘ডিপার্টমেন্ট অব ডিফেন্স’র ইনসপেক্টর জেনারেলের নতুন এক রিপোর্টে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। খবর মিডিল ইস্ট মনিটরের।
মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা বলছেন, ২০১৭-১৮ আর্থিক বছরে পাঠানো ওই চালানে প্রায় ৭১.৫৮ কোটি ডলারের অস্ত্র ও যুদ্ধ সরঞ্জাম রয়েছে। এর আগে ইরাক ও কুয়েতে পাঠানো ১০০ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম হারিয়ে ফেলে পেন্টাগন।
পেন্টাগন প্রকাশিত সর্বশেষ অডিট রিপোর্ট মতে, সিরিয়ায় মার্কিন সেনাবাহিনীর মিশন কমবাইন্ড জয়েন্ট টাস্ক ফোর্সের কর্মকর্তারা ২০১৭ ও ২০১৮ আর্থিক বছরে আইএসবিরোধী বিদ্রোহী গোষ্ঠীদের জন্য অস্ত্র ও যুদ্ধ সরঞ্জাম সরবরাহের ব্যাপারে বোধগম্য কোনো তালিকা দেখাতে পারেননি। ওই সব অস্ত্র সঠিক গুদামজাতও করা হয়নি।
এর আগে ২০১৬ সালের মার্কিন সরকারের একটি অডিট রিপোর্টের বরাত দিয়ে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানায়, কুয়েত ও ইরাকে মোতায়েন করা বিপুল পরিমাণ সামরিক অস্ত্র ও সরঞ্জামের অবস্থান সম্পর্কিত তথ্য হালনাগাদ নেই। বর্তমানে এসব অস্ত্রের পরিমাণ সম্পর্কেও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে তথ্য নেই।
রাশিয়া ও সিরিয়ার অভিযোগ, আইএসের বিরুদ্ধে লড়াই নয় অস্ত্র সরবরাহ করে তাদেরকে বাশারবিরোধী যুদ্ধে ব্যবহার করছে ওয়াশিংটন।
যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কুর্দি বিদ্রোহীদের পৃষ্ঠপোষকতা ও অস্ত্র দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু মিত্র গোষ্ঠীর যোদ্ধাদের জন্য কোটি কোটি ডলারের এসব অস্ত্র প্রায়ই হারিয়ে ফেলে মার্কিন বাহিনী। কখনও কখনও সেগুলো জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর হাতে পড়ে।
Leave a reply