স্টাফ করেসপন্ডেন্ট নারায়ণগঞ্জ
নারায়ণগঞ্জে ফতুল্লার সাইনবোর্ড সাহেবপাড়া এলাকায় গ্যাসের চুলার আগুনে দগ্ধ একই পরিবারের 8 সদস্যের মধ্যে আরো দুইজন নিহত হয়েছেন। সোমবার রাত সাড়ে এগারোটায় দগ্ধ আপন (১২) এবং মঙ্গলবার সকালে দগ্ধ হিরণ (৩৫) মারা যায়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া। তিনি জানান এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা দাঁড়াল ৫। নিহতরা হলো নুরজাহান বেগম (৭০) তার বড় ছেলে কিরণ (৫৫), ছোট ছেলে হিরণ (৩৫), ভাতিজা আবুল বাশার সুমন (২৭) আপন (১২)।
নিহত কিরণের ভগ্নিপতি মোহাম্মদ ইলিয়াছ মিয়া জানান, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার সাইনবোর্ড সাহেবপাড়া এলাকার বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা ফারুক হোসেনের ৫ তলা বাড়ির নিচতলার ফ্ল্যাটটি ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন নূরজাহান ও তার পরিবারের সদস্যরা। সাহেব পাড়া এলাকায় গত কয়েক বছর ধরে গ্যাসের চাপ কম থাকায় চুলার চাবি চালু রেখেই ঘুমিয়ে পড়েছিল নূরজাহান বেগম ও তার পরিবারের সদস্যরা। গত ১৭ই ফেব্রুয়ারি ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে বৃদ্ধ নূরজাহান বেগম রান্না করার জন্য গ্যাসের চুলায় ম্যাচের কাঠি ধরানোর সাথে সাথেই পুরো ঘরে আগুন ধরে যায়। আগুনে ঝলসে যায় নুরজাহান বেগম শরীর। তার আত্মচিৎকারে চিৎকারে তার দুই ছেলে, মেয়ে ও নাতি-নাতনিসহ নূরজাহান বেগম কে বাঁচাতে গিয়ে আগুনে দগ্ধ হয় একই পরিবারের আট সদস্য। গ্যাসের আগুনে দগ্ধ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন ৮ জনের মধ্যে পাঁচজন মারা গেছেন। এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরো তিনজন। তাদের মধ্যে কাউসার নামে আরও এক রোগির অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
এ ব্যাপারে নিহত কিরন মিয়ার বোন জামাই ইলিয়াস আপন ও হিরনের মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, আজ সকাল আটটায় সাহেবপাড়া এলাকার কবরস্থানে অন্যান্য সদস্যদের পাশে আপনকে জানাজা শেষে দাফন করা হয়েছে। হিরনের লাশ ঢাকা থেকে আনার পর দুপুরে একই কবরস্থানে দাফন করা হবে।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার সাইনবোর্ড সাহেবপাড়া এলাকায় একটি পাঁচতলা বাড়ির নিচ তলায় গ্যাসলাইন বিস্ফোরণের অগ্নিকান্ডে ৮জন অগ্নিদগ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। ঘটনার দিন নূরজাহান বেগম এর একদিন পর তার বড় ছেলে কিরন মিয়া ও কিরন মিয়ার ছেলে আবুল বাসার ইমন, তার ছোট ভাই আপন চাচা হিরন মারা গেল। এই নিয়ে পাঁচজনের মৃত্যু হলো।
Leave a reply