কিশোরকে পেটানোর অভিযোগে সাব্বির রহমানকে দেয়া বিসিবির কঠিন শাস্তিকে স্বাভাবিক ভাবেই নিচ্ছে জাতীয় দল। এমন শাস্তি প্রয়োজন ছিলো বলে মনে করেন দলের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ। আর সাধারণ মানুষের কাছে আইকন ক্রিকেটার হিসেবে যারা চিহ্নিত তাদের এমন কাজ করা ঠিক নয় বলে মনে করেন মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা। বিসিবির সাথে চুক্তিবদ্ধ থাকার বিষয়টি মেনে চলা উচিত বলে মনে করেন ওয়ানডে অধিনায়ক।
শাস্তি মাথায় নিয়েই আজ মঙ্গলবার অনুশীলনে ছিলেন সাব্বির রহমান রুম্মন। স্বাভাবিকভাবেই তার দিকে ছিলো গণমাধ্যমের দৃষ্টি। মাঠে ইতস্তত করছিলেন এই ড্যাশিং ব্যাটসম্যান। সাব্বিরের জড়তা কাটাতে এগিয়ে গেলেন মাশরাফি। কাছে ডেকে কি যেনো বললেন ওয়ানডে অধিনায়ক।
এরপর আর দেখা যায়নি তাকে। সকালে এসেই নিজেকে কিছুটা আড়ালে রেখেছিলেন সাব্বির। বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ, ২০ লাখ টাকা জরিমানা, আর সাথে ৬ মাস ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধের শাস্তিটা বড় হয়ে গেলো কিনা- সেই আলোচনা শোনা গেলে খোদ বিসিবি ভবনেই।
এ নিয়ে মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা বলেন, ‘সামনে যেনো আমরা কোনো ভুল না করি। সাব্বিরের সাথে হয়েছে; কিন্তু আর কারো সাথে যাতে না হয়। এমন কি আমার সাথেও না। আমাদের কাজ হলো ভালো পারফর্ম করা, অন্য কিছু নয়।’
মাঠের ভেতরে তো বটেই বাইরেও সতীর্থদের আরও সংযত আচরণের পরামর্শ দিয়ে মাশরাফি আরো বলেন, ‘প্রথম কথা হচ্ছে যে, বিসিবির অধীনে আমরা সবাই। এটা মেনে নেয়াটাও দায়িত্ব। একই সাথে আমাদের সবাই ফলো করে। তরুণরা যারা উঠে আসছে, অনূর্ধ্ব-১৫, অ-১৬, অ-১৯; তারাও আমাদের ফলো করে। সুতরাং মাঠের বাইরের সব কিছু ঠিক রাখা আমাদের দায়িত্ব। যেটা হয়েছে, সেটা মেনে নেয়া ছাড়া উপায় নেই।’
বছরের প্রথম দিনেই শাস্তি দিয়ে শৃঙ্খলার নিয়ে ‘জিরো টলারেন্স’ দেখাতে চেয়েছে বিসিবি। ভবিষ্যতেও কোন ছাড় না দেয়ার কথাই সাফ জানিয়ে দিলেন খালেদ মাহমুদ। জাতীয় দলের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর জানান, শাস্তি নিয়ে এখনো আপিলের সুযোগ থাকছে সাব্বিরের সামনে।
Leave a reply