ভারতের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন-সিএএ’র বিরোধিতায় রণক্ষেত্র দিল্লি। রাজধানীর বড় অংশে ১৪৪ ধারা জারি থাকার মধ্যেই, বুধবারও চিকিৎসারত অবস্থায় মৃত্যু ঘটলো ১১ জনের। এ নিয়ে তিনদিনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ২৩ জনে।
আনন্দবাজার জানিয়েছে, বুধবার সকালে গুরুতর আহত অবস্থায় আরও চারজনকে গুরু তেগবাহাদুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে, চিকিৎসকরা তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন।
বেলা বাড়লে আরও দু’জনের মৃত্যু হয়। দুপুরে চাঁদবাগ থেকে এক গোয়েন্দা কর্মকর্তার লাশ উদ্ধার হয়। তারপর লোকনায়ক হাসপাতালে আরও দু’জনের মৃত্যু হয়।
বুধবারও দিল্লিতে হিংসাত্মক ঘটনা ঘটার কথা জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো। ভোর সাড়ে ৪টা থেকে নতুন করে পাথর ছোঁড়াছুঁড়ি শুরু হয় উত্তর-পূর্বের ব্রহ্মপুরী-মুস্তাফাবাদ এলাকায়। গোকুলপুরীতে একটি পুরনো জিনিসপত্রের দোকানেও আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মহারাষ্ট্রের সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী নওয়াব মালিক জানান, নির্দিষ্ট ধর্মানুসারীদের ওপর ন্যাক্কারজনক হামলা চলতে পারে না। ঠিক গুজরাটের আদলে দিল্লিতেও চলছে হামলা। অথচ, সরকার পুরোপুরি নির্লিপ্ত।
এর আগে, মঙ্গলবার দিনভর চলা বিক্ষোভ সহিংসতায় রুপ নেয় রাতে। বিক্ষোভকারীদের সাথে পুলিশ ও বিজেপি সমর্থকদের সংঘর্ষে আহত দেড় শতাধিক। এদের মধ্যে ৭০ জনই গুলিবিদ্ধ।
গণমাধ্যমগুলো বলছে, রাজধানীর অশোকনগর এলাকায় একটি মসজিদেও আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। অভিযোগ উঠেছে সংখ্যালঘু আর মুসলিমদের ঘরবাড়ি-দোকানপাটে হামলা আর লুটপাটেরও। বন্ধ আছে জাফরাবাদ, গোকুলপুরি, মৌজপুরসহ অন্তত ১০ এলাকার কয়েক হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বুধবার নতুন করে সহিংসতা না হলেও বিভিন্ন স্থানে চলছে বিক্ষোভ। উত্তর-পূর্ব দিল্লির বেশিরভাগ এলাকাতেই বিরাজ করছে থমথমে পরিস্থিতি। সহিংসতা বন্ধে বিভিন্ন মসজিদ-মন্দির কর্তৃপক্ষকে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
Leave a reply