ভারতের রাজধানী দিল্লিতে সহিংসতার ঘটনায় উসকানিদাতাদের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবারের মধ্যেই ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত। পাশাপাশি, সহিংসতা দমন করতে ব্যর্থ হওয়ায় কেন্দ্রীয় সরকার ও পুলিশের সমালোচনাও আদালত। এরপর বুধবার রাতেই সংশ্লিষ্ট বিচারক এস মুরালিধরকে বদলি করে দেয়া হয় পাঞ্জাব-হরিয়ানার উচ্চ আদালতে।
বুধবার, বেশ ক’জন বিজেপি মন্ত্রী ও নেতার বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্যের রেকর্ড চালিয়ে শোনানো হয় আদালতে। এসময়, বিচারক মুরালিধর বলেন, ১৯৮৪ সালের শিখবিরোধী দাঙ্গা পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি চায় না ভারত। এ রায়ের পরই ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের আদেশে তার বদলির বিজ্ঞপ্তি জারি করে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রধান বিচারপতির সাথে আলোচনা করে রাষ্ট্রপতি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এনডিটিভি বলছে, মুরালিধর ভারতের সর্বোচ্চ আদালতের বিচারকদের মধ্যে জ্যেষ্ঠতার দিক থেকে তৃতীয়। সর্বোচ্চ পর্যায়ের বিচারকদের এভাবে বদলির নজির খুব একটা দেখা যায় না। পাশাপাশি, ভারতে বদলির ক্ষেত্রে পরিবর্তিত কর্মস্থলে যোগদানের জন্য ১৪ দিনের সময় দেয়া হয়। বিচারকদের বদলির আদেশের সবশেষ ৬ ঘটনায়ও এটি দেখা গেছে। তবে মুরালিধরকে বদলির ক্ষেত্রে সেটিও দেয়া হয়নি।
এদিকে, অভিযোগ উঠেছে, সহিংসতার আগে অন্তত ৬ বার পূর্ব সতর্কতামূলক গোয়েন্দা তথ্য পেয়েছিল দিল্লি পুলিশ। তাও তারা কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে ক’মাস ধরে উত্তপ্ত সারা ভারত। সোমবার থেকে বিক্ষোভকারীদের সাথে পুলিশ ও বিজেপি সমর্থকদের সংঘর্ষে ৩ দিনে নিহত হয়েছে ৩২ জন, আহত দুই শতাধিক। ১৪৪ ধারা জারির মধ্যেই মুসলিমদের বাড়িঘর, দোকানপাট, এমনকি ধর্মীয় স্থাপনাতেও হয়েছে হামলা-লুটপাট।
Leave a reply