উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে সবসময় ফেভারিট রিয়াল মাদ্রিদ। অন্যান্য লিগে ফর্মে না থাকলেও এ টুর্নামেন্টে এলে তাদের চেহারাই পাল্টে যায়। বিধ্বংসী রূপে আবির্ভূত হন লস ব্লাঙ্কোরা।
কিন্তু চলতি মৌসুমে নিজেদের হারিয়ে ফেলেছেন তারা। ঘরের মাঠে বুধবার ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে ২-১ গোলে হেরে বসেছেন জিনেদিন জিদানের শিষ্যরা। স্প্যানিশ জায়ান্টদের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন ইস্কো। আর ইংলিশ হেভিওয়েটদের পক্ষে লক্ষ্যভেদ করেন গ্যাব্রিয়েল জেসুস ও কেভিন ডি ব্রুইন।
এখানেই শেষ হতে পারত রিয়ালের দুঃখের ইতিহাস। কিন্তু এর আরও বিস্তার ঘটান সার্জিও রামোস। ৮৬ মিনিটে বল নিয়ে আক্রমণে যাওয়া ম্যানসিটি স্ট্রাইকার গ্যাব্রিয়েল জেসুসকে পেছন থেকে টেনে ধরেন তিনি।
কালবিলম্ব না করে সঙ্গে সঙ্গেই তাকে লালকার্ড দেখান রেফারি। ফলে শেষ ষোলোর ফিরতি লেগে সিটির মাঠে পরীক্ষিত এ স্প্যানিশ ডিফেন্ডারকে পাবে না মাদ্রিদের ক্লাবটি।
এ নিয়ে লজ্জার রেকর্ড স্পর্শ করেছেন রামোস। চ্যাম্পিয়নস লিগে চতুর্থবার লালকার্ড দেখলেন তিনি। ইউরোপের শীর্ষস্থানীয় এ ক্লাব প্রতিযোগিতার ইতিহাসে তার সমান কার্ডটি দেখেছেন শুধু দুজন ফুটবলার। তারা হলেন জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ ও এডগার ডেভিডস। ইব্রা খেলে চললেও ডাচ ডিফেন্ডার ডেভিডস ফুটবল ছেড়েছেন অর্ধযুগ আগে।
এ নিয়ে সব মিলিয়ে ২৬ বার লালকার্ড দেখলেন রামোস। আর দুবার তা দেখলে নিস ও মার্শেইয়ের সাবেক মিডফিল্ডার সিরিল রুলকে টপকে যাবেন তিনি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৭ বার লালকার্ড দেখেছেন রুল।
যদিও সর্বোচ্চ লালকার্ড দেখার রেকর্ড থেকে এখনও বহুদূরে রামোস। ন্যক্কারজনক রেকর্ডটি কলম্বিয়ার সাবেক ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার জেরার্ডো বেদোয়ার দখলে। দেশ ও ক্লাবের হয়ে ২০ বছরের ক্যারিয়ারে রেকর্ড ৪৬ বার তা দেখেছেন তিনি।
তবে রিয়ালের ইতিহাসে সর্বোচ্চ লালকার্ড দেখা ফুটবলার এখন রামোসই। তিনি ক্যারিয়ারে প্রথম লালকার্ড দেখেন ২০০৫ সালে এস্পানিওলের বিপক্ষে। লা লিগা ইতিহাসেও সর্বোচ্চ তা দেখা ফুটবলারের রেকর্ডের ভার বহন করছেন ৩৩ বছর বয়সী ডিফেন্ডার।
তথ্যসূত্র: বিইআইএন স্পোর্টস/সিবিএস স্পোর্টস।
Leave a reply