মন্ত্রিসভায় বড় ধরনের রদবদল হয়েছে। এর অংশ হিসেবে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননকে বেসরকারি বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয় থেকে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী করা হয়েছে। প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে রাশেদ খান মেনন বলেন, এতদিন আকাশে ছিলাম, এখন আকাশ থেকে মাটিতে নামলাম।
কাজের সমন্বয়ের জন্যই প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ করেছেন উল্লেখ করে মেনন বলেন, এটা প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার, তা উনি হিসাব করেই করেছেন নিশ্চয়।
তার সময়ে বিমানের ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে দাবি করে মেনন বলেন, এই অঞ্চলে ‘আইকাও’র রেটিং এ বিমান ৭৭-এ রয়েছে। আমার মেয়াদকালে তিন বার লাভে ছিল বিমান। অভ্যন্তরীন রুটে যাত্রী পরিবহন বেড়েছে।
পর্যটন খাতের অগ্রগতি নিয়েও সন্তুষ্ট মেনন। বলেন, ‘আমার তৃপ্তির জায়গা- পর্যটন। এখাতে দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়েছে। ১ কোটি মানুষ দেশের অভ্যন্তরে ভ্রমণ করেছে।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কে মেনন বলেন, নতুন মন্ত্রণালয় সুখকর। সামাজিক কল্যাণে মানুষের জন্য কাজ করার সুযোগ হলো। সবার সহযোগিতা চাই।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়কে ‘বড় বাজেটের মন্ত্রণালয়’ বলেও উল্লেখ করেন মেনন।
প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানে ত্রুটির ঘটনায় সরিয়ে দেয়া হলো কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মেনন বলেন, এমন টা মনে হয় না।
তার মতে মন্ত্রিসভায় রদবদল জোটের রাজনীতিতে প্রভাব ফেলবে না। নির্বাচনের হিসাব মাথায় রেখেই প্রধানমন্ত্রী এমন রদবদল করেছেন বলে ধারণা এ বর্ষীয়ান বাম রাজনীতিকের। উল্লেখ্য, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে বর্তমানে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন নুরুজ্জামান আহমেদ। ২০১৬ সালের মে মাসে তৎকালীন প্রতিমন্ত্রী প্রমোদ মানকিন মারা যাওয়ার পর নুরুজ্জামান এ দায়িত্বে আসেন। এর আগে সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা সৈয়দ মহসিন আলী ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মারা গেলে পূর্ণ মন্ত্রী ছাড়াই চলছিলো মন্ত্রণালয়টি। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর দায়িত্ব পান জনাব এনামুল হক মোস্তফা শহীদ। তিনি ২০১৩ সালে মারা যান।
যমুনা অনলাইন: টিএফ
Leave a reply