পটুয়াখালী প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নববধূ চম্পা বেগমকে (৩২) খুনের ঘটনায় ১৫ দিন পর ঘাতক স্বামী বাবুল হাওলাদারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার মধ্যরাতে পাবনা জেলার আটঘরিয়া থানার মাঝগ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। শনিবার দুপুর ২টায় পটুয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মইনুল হাসান এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, আটক বাবুলের দেয়া তথ্যমতে তার বাড়ির পাশের একটি মরা খাল থেকে গৃহবধূ চম্পার ব্যবহৃত ওড়না, ভ্যানিটি ব্যাগ, স্কার্ফ, চাদর ও বোরকার অংশবিশেষ এবং একটি কোদাল শনিবার সকালে উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ বাবুলের কাছ থেকে চম্পা হত্যা সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয়েছে।
পুলিশ সুপার আরো জানান, কলাপাড়ার গামুরিবুনিয়া গ্রামের বাবুল হাওলাদার স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও বরগুনার তালতলীর কলারং গ্রামের চম্পা বেগমকে বিয়ে করে। ১২ জানুয়ারি নববধূকে বাবুল তার বাড়িতে নিয়ে আসে। এরপর থেকে চম্পা বেগম নিখোঁজ ছিল। চম্পার বাবা চানমিয়া মেয়ে নিখোঁজের ঘটনায় ১৪ জানুয়ারি বরগুনার তালতলী থানায় একটি জিডি করেন। পরে ২২ জানুয়ারি কলাপাড়া থানা পুলিশ পূর্ব-চাকামইয়া গ্রামের বাবুল হাওলাদারের বাড়ির পেছনের ফসলি জমির মাটির নিচে চাপা দেয়া চম্পার মৃতদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ওইদিন কলাপাড়া থানায় ১১জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন চম্পার বাবা। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় স্বামী বাবুল হাওলাদারকে।
কলাপাড়া থানার ওসি মনির হোসেন জানান, এ ঘটনার পর থেকেই পুলিশ সুপারের দিক নির্দেশনায় পটুয়াখালী জেলা পুলিশের একটি বিশেষ দল এই চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদঘাটন এবং আসামিদের গ্রেফতারের জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখে।
Leave a reply