ওষুধ এখন বিকল্প ইয়াবা। আজব শোনালেও এটাই সত্যি। দেশের সাধারণ বাজার থেকে নিষিদ্ধ হওয়া দুই ধরনের ওষুধে নেশা করছে শত শত তরুণ ও নিম্ন আয়ের মানুষ প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওষুধগুলো বিক্রির নিয়ম না থাকলেও তা দেদারসে বিক্রি করছে ফার্মেসি গুলো।
অথচ দুই মাস আগে এসব ওষুধ বাজার থেকে সরিয়ে নিতে বলেছিল ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। এসব কাণ্ডে জড়িত ৪ জনকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ।
দেশে, ট্যাপেন্ডাটল ও মিথাইলফেনিডেট নামে দুই ধরনের তীব্র ব্যাথানাশক ওষুধ উৎপাদন ও বিক্রি করে বেশ কয়েকটি কোম্পানি। কিন্তু এই ওষুধগুলো মাদকদ্রব্য হয়ে অপব্যবহারের আশঙ্কায় এই বছরের জানুয়ারিতে লাইসেন্স করা হাসপাতাল ও সরকারি বিক্রয়কেন্দ্র ছাড়া খুচরা বাজারে বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়। খুচরা বাজার থেকে সরিয়ে নিতেও কোম্পানিগুলোকে নির্দেশ দেয় ঔষধ প্রশাসন। কিন্তু, কেউ মানেনি আদেশ।
ইতিমধ্যে যা হবার হয়ে গেছে, মাদকের মতো সারাদেশের তরুণদের হাতে চলে গেছে এসব ওষুধ। অলিগলি থেকে শুরু করে রিকসার গ্যারেজ সবখানেই এখন ট্যাপেন্টা খাওয়ার হিড়িক।
ওষুধ কোম্পানিগুলোর অপকর্মের সুযোগও নিয়েছে দেশের ফার্মেসি গুলো। ২০/২৫ টাকার ওষুধ এরা বিক্রি করছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। এগুলো দিয়ে নেশা করা হয় জেনেও, তা মজুদ করে বেশি দামে বিক্রি করে খুচরা ফার্মেসি গুলো।
সম্প্রতি, রাজধানীর বিভিন্নস্থানে অভিযান চালায় গোয়েন্দা পুলিশ। আটক করা হয় এই ওষুধ সেবনকারীসহ দুই ফার্মেসি মালিককে। একটি চুরির মামলা তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ দেখে, এসব ওষুধ খাওয়ার টাকা পেতেই চুরি করছে পাড়ার তরুণরা।
Leave a reply