হোয়াইট হাউসের সাবেক ‘চিফ স্ট্র্যাটেজিস্ট’ স্টিভ ব্যাননকে এবার ‘বদ্ধ উন্মাদ’ আখ্যা দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন চাকরি হারানোর পর মাথা খারাপ হয়ে গেছে ব্যাননের। নতুন একটি বইয়ে ব্যানন ‘ট্রাম্প জুনিয়রের রুশ যোগাযোগকে’ রাষ্ট্রদ্রোহের সামিল, বলে মন্তব্য করায় এমন খেপেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এরই মধ্যে ব্যাননকে আইনি নোটিশও পাঠিয়েছেন ট্রাম্পের আইনজীবী।
হোয়াইট হাউজে যাবার পর ট্রাম্পের অপসারণে শিকার হওয়া সবচেয়ে বড়ো নাম তার সাবেক উপদেষ্টা স্টিভ ব্যানন। হোয়াইট হাউজের সাবেক প্রধান নীতি-নির্ধারক। ট্রাম্পের আমেরিকা ফার্স্ট নীতির জনক ব্যানন উগ্র শেতাঙ্গবাদী হিসেবেও সুপরিচিত। সেই ব্যাননকে এবার বদ্ধ উন্মাদ বললেন ট্রাম্প। বললেন, চাকরির সাথে সাথে নিজের বিচার-বুদ্ধির ক্ষমতাটাও হারিয়েছেন তিনি। মাইকেল উলফের লেখা ‘ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি-ইনসাইড দ্য ট্রাম্প হোয়াইট হাউস’ বইয়ে ব্যানন বলেন, রুশ কর্মকর্তাদের সাথে ট্রাম্প পুত্রের যোগাযোগ রাষ্ট্রদ্রোহের সামিল। ছেলেকে নিয়ে এমন মন্তব্যের কারণেই এতোটা চটেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
শুধু ভর্ৎসনা করেই ক্ষান্ত হননি ট্রাম্প। রাষ্ট্রের গোপনীয় তথ্য প্রকাশ করে চাকরির শর্ত ভেঙ্গেছেন দাবি করে ব্যাননকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন ট্রাম্পের আইনজীবী। হোয়াইট হাউসের সংবাদ সম্মেলনেও নিন্দা করা হয় ব্যাননের। এব্যাপারে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারী সারাহ হাকাবি স্যান্ডার্স বলেন, প্রেসিডেন্ট তার বিবৃতিতে সব কিছু স্পষ্ট করে দিয়েছেন। ব্যাননের এসব দাবি হাস্যকর। তার যদি কোন অভিযোগ থেকে থাকে তা প্রকাশের মাধ্যম এমনটা হতে পারে না। ট্রাম্পের পাশাপাশি তার পরিবারকে বিতর্কিত করতে ন্যাক্কারজনক পন্থা নিয়েছেন ব্যানন।
এদিকে বিশ্লেষকরা বলছেন, সাবেক সহকর্মীর সাথে এই রেষারেষি ট্রাম্পের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে সামনের দিনগুলোতে। এপি রিপোর্টার জশ লেডারম্যান বলেন, ট্রাম্পের নির্বাচনী মিশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিলো ব্যাননের। অথচ তার সাথেই তিক্ততা বাড়ালেন ট্রাম্প। ব্যাননকে অপসারণ করায় অনেক রিপাবলিকান সমর্থক ট্রাম্পের ওপর ক্ষুব্ধ ছিলো। মধ্যবর্তী নির্বাচনে এই রেষারেষির প্রভাব পড়লে অবাক হবো না।
আগস্টে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিলেও পরে এক বক্তব্যে বন্ধু আখ্যা দিয়ে ব্যাননকে একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা হিসেবে আখ্যা দিয়েছিলেন ট্রাম্প।
Leave a reply