ভৈরব প্রতিনিধি:
ভৈরবে বিদেশ ফেরত ৫৩জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। যার ভেতরে ৪৩জন পুরুষ এবং ১০ জন নারী। এর মধ্যে ইটালি ফেরত ১৬ জন সৌদি ফেরত ২০ জন সহ অন্যান্য দেশের লোক জন রয়েছেন।
ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, এ পর্যন্ত কাউকে আইসোলেশন ইউনিট রাখা হয়নি। ভৈরব পৌর ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্য সহকারীদেরকে হোম কোয়ারেন্টাইনের পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক তাদের স্বাস্থ্যের খোঁজ নেয়া হচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র আরও জানায়, আজ শুক্রবার বিদেশ ফেরত ১২জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনের রাখা হয়েছে। গত সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মোট ৪১ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। প্রত্যেকের বাড়ির পৃথক কক্ষে তাদের রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারা ১৪ দিন পর্যবেক্ষণে থাকবেন।
এ সময় তাদের বাইরে চলাফেরা ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মেলামেশা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পরিবারের সদস্যদেরও চলাফেরা সীমিত করা হয়েছে। বিশেষ করে পরিবারের সদস্যদের নিজ ঘর ও আঙিনা পর্যন্ত চলাফেরা সীমাবদ্ধ রাখতে বলা হয়েছে। এ আদেশের কোন ব্যত্যয় ঘটছে কি না, স্বাস্থ্য সহকারীরা সে বিষয়টা নজর রাখছেন। জনপ্রতিনিধি ও সমাজসচেতনদেরও এই কাজে সম্পৃক্ত করা হয়েছে।
এদিকে বুধবার থেকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির ব্যবস্থাপনায় ৫০ শয্যার একটি আইসোলেশন ইউনিট প্রস্তুত করা হয়েছে। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন স্থানে নির্মাণাধীন ট্রমা সেন্টারে আইসোলেশন ইউনিট খোলা হয়েছে। করোনাভাইরাসের ঝুঁকি আছে, এমন লোকজনকে আইসোলেশন ইউনিটে রাখা হবে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ। এ পর্যন্ত কাউকে আইসোলেশন ইউনিট রাখা হয়নি।
ডা. বুলবুল আহমেদ বলেন, ‘হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের বেশির ভাগই ইতালি ও সৌদি আরব থেকে আসা। তাদের বিষয়ে আমাদের নির্দেশনা হল, সবাইকে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ঘরের নির্দিষ্ট কক্ষে থাকতে হবে। তবে তাদের কেউ করোনায় আক্রান্ত হয়নি বলেও নিশ্চিত করেন তিনি।
Leave a reply