ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে দুই পক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশের লাঠির আঘাতে শামসুল হক চৌধুরী (৫৫) নামের একজন নিহত হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশসহ এতে আহত হয়েছে আরও ২৫ জন।
আজ শুক্রবার দুপুরের উপজেলার পাকশিমূল ইউনিয়নের পরমানন্দপুর গ্রামের বকশিপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত শামসুল হক চৌধুরী ওই এলাকার মৃত সওদাগর চৌধুরীর ছেলে। এই সময় ৭জন পুলিশ সদস্য সহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। তবে লাঠির আঘাতে মৃত্যুর কথা অস্বীকার করেছে সরাইল থানা পুলিশ।
স্থানীয় ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সরাইল উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের পরমানন্দপুরের মসজিদ-মাদরাসার অর্থ আত্মসাৎ সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দেওয়ান গোষ্ঠির নূর আলী ও খাঁ গোষ্ঠির জয়নাল আবেদীনের পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছিল। তাদের মধ্যে একাধিকবার সংঘর্ষ হয়েছে।
এসব ঘটনায় উভয় পক্ষ মামলা দায়ের করেছে। কিছুদিন আগেও তাদের বিরোধ নিস্পত্তি করতে শালিস সভা হয়। কিন্তু এতেও বিরোধ মেটেনি। এরই জের ধরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে সেখানে রাত থেকেই অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। শুক্রবার সকালেও দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
আজ দুপুরে পুনরায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে পুলিশ তাদের ধাওয়া দেয়। এ সময় শামসুল হক চৌধুরী নামের একজন দৌড়িয়ে নদীর পাড়ে গেলে সেখানে পুলিশ তাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করলে সেটা মাথায় পড়লে ঘটনাস্থলেই মারা যায় সে। এই সময় পুলিশের ৭জন সদস্য সহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়।
তবে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেন টিটু বলেন, পুলিশের লাঠির আঘাতে সে মারা যায়নি। আমরা ধারণা করছি সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
Leave a reply