করোনাভাইরাস এখন বিশ্বজুড়ে এক মহাদুর্যোগ ও মহাআতঙ্কের নাম। এখনও তৈরি হয়নি প্রতিষেধক, তাই আক্রান্ত ও মৃত্যুর হারও বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। ভাইরাসটি মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মতো উন্নত দেশগুলো রীতিমত হিমশিম খাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে শেষ পর্যন্ত ভেষজ ওষুধের দিকেই ঝুকছেন অনেকে।
চিকিৎসকদের দাবি, ফ্লু জাতীয় ভাইরাসের উপসর্গ নিরাময়ে বেশ কার্যকর সনাতন এই চিকিৎসা পদ্ধতি। বৈশ্বিক মহামারিতে রুপ নেয়ায় ঘুম হারাম চিকিৎসা গবেষকদের।
এখনও প্রতিষেধক আবিষ্কার না হওয়ায় বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। দেশে দেশে সচেতনতা বাড়িয়েও ঠেকানো যাচ্ছে না এর বিস্তার। এমন অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রে বেড়েছে ভেষজ ওষুধের চাহিদা। জ্বর, ঠান্ডা-কাঁশির মতো উপসর্গ থেকে রক্ষা পেতে অনেকে বেছে নিচ্ছেন সনাতন এই চিকিৎসা।
ডা. থমাস লিয়াং( সিইও, কামো মেরিডিয়ান হারবাল) তিনি জানান, মূলত ফ্লু জাতীয় ভাইরাসের উপসর্গ নিরাময়ে বেশ কার্যকর হারবাল এই উপকরণগুলো। চীনে ভাইরাসের প্রকোপ শুরু হওয়ার পর অনেকেই আগাম বুকিং দিয়ে গেছেন। এখন বিক্রি আরও বেড়েছে।
উপকরণগুলোর মধ্যে রয়েছে,বিভিন্ন গাছের লতা, শিকড়, দারচিনির ডালসহ নানা পদ। যা ঠান্ডাজনিত রোগ উপশমে বেশ কার্যকর বলে দাবি এই হারবাল চিকিৎসকের।
তিনি জানান, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। কারণ আমার সব পণ্য আসতো চীন থেকে। এখন যোগাযোগ বন্ধ থাকায় পন্য আনা সম্ভব হচ্ছে না। স্টকে থাকা মালামালও শেষের পথে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, আড়াই হাজার বছরের পুরনো এই ভেষজ পদ্ধতি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সারা বিশ্বে। বছরে এই চিকিৎসা উপকরণ বিক্রির পরিমান ৬ হাজার কোটি ডলারের বেশি।
Leave a reply