ভূয়া ওয়ারেন্টে গ্রেফতার ময়মনসিংহের কৃষক নুরুল ইসলামকে অবশেষে মুক্তি দিয়েছে পুলিশ। যমুনা টেলিভিশনে সংবাদ প্রকাশের পর এই সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। ওয়ারেন্ট জালিয়াতির সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ত্রিশাল থানার এএসআই বুলবুল হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত এবং কোর্ট পুলিশ মিজানুর রহমানকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। একইসাথে পুরো ঘটনাটি তদন্তে একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ময়মনসিংহের ত্রিশালের কৃষক নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে খুলনার আদালত থেকে আসে গ্রেফতারি পরোয়ানা। এর ভিত্তিতে সাত ডিসেম্বর গ্রেফতারের পর তাকে হাজতে পাঠায় পুলিশ।
গ্রেফতারি পরোয়ানার সত্যতা নিয়ে পরিবারের সন্দেহ হলে তারা বিষয়টি যমুনা টেলিভিশনকে জানান। এরপর যমুনার অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে যে, নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে কোন পরোয়ানাই জারি করেননি খুলনার আদালত। যে মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে সেই মামলায় তার নামই নেই।
ত্রিশাল পুলিশ বলছে, ময়মনসিংহ থেকে গ্রেফতারের জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছিলো। তবে ভূয়া পরোয়ানার বিষয়ে জানা নেই, বললেন ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাকিউর রহমান।
ভুক্তভোগী পরিবারটির অভিযোগ, বিপদ থেকে উদ্ধারের জন্য পরোয়ানার দায়িত্বে থাকা ময়মসিংহ আদালতের তিন নম্বর জিআর শাখার পুলিশ সদস্য মিজানের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন ত্রিশাল থানার এ এস আই বুলবুল। অতপর এ নিয়ে শুরু হয় দরদাম। বুলবুল চান ৩০ হাজার টাকা। এত টাকা দিতে নিজেদের অক্ষমতার কথা জানায় পরিবারটি।
মিজান বিষয়টি নিয়ে যান কোর্ট ইন্সপেক্টরের কাছে। তার দাবি, গ্রেফতারি পরোয়ানাটি তারা পেয়েছেন ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে। আর ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ বলছে, গ্রেফতারী পরোয়ানাটি ডাকযোগে এসেছিলো গত বছর ১৭ নভেম্বর।
এসব বক্তব্য ও অনুসন্ধানী তথ্য যমুনা টেলিভিশনে প্রচারের পর বৃহস্পতিবার বিকালে মুক্তি দেয়া হয় কৃষক নজরুল ইসলামকে। একইসাথে ত্রিশাল থানার এএসআই বুলবুল হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত এবং কোর্ট পুলিশ মিজানুর রহমানকে প্রত্যাহার করে প্রশাসন।
Leave a reply