বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে ১ লক্ষ ৮২ হাজার ৯৩৯ ভোট পেয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থী অ্যাডভোকেট আমিরুল আলম মিলন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাজন কুমার মিস্ত্রি পেয়েছেন ৩ হাজার ৯৫৭ ভোট।
কোনো সহিংসতা ছাড়াই কেন্দ্রগুলোতে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। তবে বিভিন্ন কেন্দ্রে ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি কেন্দ্রে নির্বাচন কমিশন করোনা সতর্কিত ব্যনারসহ মাত্র একটি সাবান ও একটি হ্যান্ড স্যানিটাইজার ‘হ্যাক্সিসল’ দিলেও তা ছিলো অপর্যাপ্ত।
এদিকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাজন কুমার মিস্ত্রি অভিযোগ করেন প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দেয়া ভয়ভীতির কারণে সাধারণ ভোটারসহ তার কর্মী সমর্থক ও এজেন্টদের অধিকাংশ ভোট কেন্দ্রে আসতে পারেনি। অনেক কেন্দ্র থেকে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকরা তার এজেন্টদের বের করে দিয়েছে।
তবে, আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. আমিরুল আলম মিলন এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, জাপা প্রার্থীতো ভোট কেন্দ্রে এজেন্টই দিতে পারেনি। যেখানে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর এজেন্টই নেই। সেখানে এজেন্ট বের করে দেয়ার প্রশ্ন ওঠে না।
মরণঘাতী করোনা আতঙ্কের কারণে ভোট কেন্দ্রগুলো দুপুর থেকেই ভোটার শূন্য হয়ে পড়ে। পাশাপাশি, ঋণ খেলাপির কারণে বিএনপির প্রার্থী কাজী খায়রুজ্জামান শিপনের মনোনয়নপত্র বাতিলের কারণে শক্ত কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় এই উপ-নির্বাচন নিয়ে ভোটারদের মাঝে আগ্রহ কিছুটা কম ছিল।
নির্বাচনে ১৪৩টি ভোট কেন্দ্রে ৩ লাখ ১৬ হাজার ৫১০ জন ভোটারের মধ্যে পুরুষ ভোটার ছিলো ১ লাখ ৫৮ হাজার ৭৯১ জন ও নারী ভোটার ছিলো ১ লাখ ৫৭ হাজার ৭১৯ জন।
Leave a reply