হাসপাতাল থেকে বাসার পথে খালেদা জিয়া

|

দুই বছরের অধিক সময় কারাবন্দি থাকার পর মুক্তি পেলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। দুর্নীতি মামলায় পাওয়া সাজা স্থগিত করে বুধবার বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্তির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। আজ বুধবার সোয়া চারটার কিছু পর তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতাল থেকে বের হন। সেখান থেকে গুলশানের বাসার পথে খালেদা জিয়া।

এরআগে দুপুরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে নিতে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ পরিবারের সদস্যরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে যান। এদিকে, খালেদা জিয়ার মুক্তি উপলক্ষে বিএসএমএমইউ’র সামনে বিএনপির দলীয় নেতাকর্মীরা ভিড় করেন। এসময় করোনা সতর্কতার কারণে বারবার দূরে সরে যেতে বলা হলেও কেউ সরেননি। উপরন্তু, দল বেঁধে স্লোগান দিতে থাকেন তারা। তাদের সরাতে একপর্যায়ে এগিয়ে যান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। হুইলচেয়ারে থাকা খালেদা জিয়া গাড়িতে উঠতে বেশ কিছুক্ষণ সময় লাগে। তারপর আরও খানিকক্ষণ সময় গাড়িটি রাস্তায় উঠতে।

এর আগে, মঙ্গলবার বিকালে হঠাৎ করেই ডাকা সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়াকে মুক্তির বিষয়ে সিদ্ধান্তের কথা জানান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, মানবিক দিক বিবেচনায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দুই শর্তে তাকে মুক্তি দেয়ার এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। খালেদা জিয়া বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন এবং বিদেশ যেতে পারবেন না- এমন শর্তে তাকে মুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দণ্ডাদেশ ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

উল্লেখ্য, জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ড নিয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে বন্দি আছেন খালেদা জিয়া।

প্রথমে পুরান ঢাকার পরিত্যক্ত কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হলেও গত বছর ১ এপ্রিল থেকে তাকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দেয়া হয়।

খালেদার জামিনের জন্য আইনজীবীরা গত দুই বছরে বহুবার আদালতে গেছেন, কিন্তু জামিন হয়নি। এই প্রেক্ষাপটে মার্চের শুরুতে খালেদা জিয়ার সাময়িক মুক্তি চেয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করার খবর আসে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply