গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে বন্যায় ভেঙে যাওয়ার দু’বছর পরও মেরামত হয়নি ব্রিজ। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন চরাঞ্চলের কয়েক হাজার মানুষ। ব্রিজের পাশেই একটি বাঁশের সাঁকো এখন তাদের চলাচলের ভরসা। এজন্য আবার টাকা দিতে হয় ইজারাদারদেরকে।
এলাকাবাসী জানান, সেতুটি বিধ্বস্ত হওয়ার ২ বছর অতিবাহিত হলেও নির্মাণে কোনো উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না। ফলে প্রতিদিন হাটুপানি পাড়ি দিয়ে স্কুল ও কলেজেগামী শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার মানুষকে চলাচল করতে হচ্ছে। চরাঞ্চলে উৎপাদিত ফসলাদি উপজেলা শহরে নিয়ে যেতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের।
জানা গেছে, সুন্দরগঞ্জের তিস্তার শাখা নদীতে ২০০৯ সালে নির্মিত হয় বিজ্রটি। এটি উপজেলা শহরের সাথে চলাচলের অন্যতম ভরসা চরাঞ্চলবাসীর। তাদের অভিযোগ, তখন অপরিকল্পিতভাবে ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়েছিল। তাই বন্যার ধকল সইতে পারেনি। নির্মাণের কয়েক বছর না যেতেই ভেঙে যায়।
এ সুযোগে জেলা পরিষদ থেকে ঘাটটি ইজারা নিয়েছেন স্থানীয় কয়েকজন। পারাপারে জনপ্রতি নেয়া হচ্ছে ৫ থেকে ৮ টাকা। এ নিয়ে প্রায়ই ঘটছে বাকবিতণ্ডার ঘটনাও। ব্রিজটি মেরামতে সরকারি কর্তৃপক্ষের নানা আশ্বাস মিললেও কার্যকরী পদক্ষেপ নেই।
তবে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী আবুল মনছুর বলেছেন, ব্রিজ নির্মাণের পরিকল্পনাপত্র উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি এখনো অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।
Leave a reply