নিজস্ব প্রতিবেদক, নওগাঁ.
বগুড়ার সান্তাহার জংশনে ৭ দিন ধরে আটকে থাকা সত্তর বছর বয়সী বৃদ্ধা ফাতেমাকে তার স্বজনরা ফিরে পেয়েছে। এজন্য যমুনা টেলিভিশনের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তারা।
কয়েক দিন আগে বৃদ্ধার আটকা পড়া নিয়ে যমুনা টেলিভিশন সংবাদ প্রকাশ করলে সেটি ফাতেমার স্বজনদের নজরে আসে। পরে তারা সান্তাহার পৌর সভার মেয়র তোফাজ্জল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করেন। সেই সূত্রে ধরে শুক্রবার দুপুরে ছেলে দেলোয়ার হোসেন ফাতেমাকে নিয়ে যান।
সান্তাহারে আটকা পড়ার পর বৃদ্ধাকে আশ্রয়, খাবার ও চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন স্থানীয় পৌর মেয়র তোফাজ্জল হোসেন।
মেয়র বলেন- ফাতেমার বাড়ি যশোর জেলা শহরের শংগরপুর গোলপাতার মসজিদের পাশে। স্বামীর নাম মৃত শেখ খলিল মিয়া। তাঁর তিন মেয়ে এক ছেলে। ছেলের নাম দেলোয়ার হোসেন। ফাতেমা তার ঠিকানা ছাড়া স্বজনদের কারও ফোন নাম্বার বলতে না পারার কারণে তাৎক্ষণিক কেই যোগাযোগ করতে পারছিলেন না।
যশোর জেলা প্রশাসন ও পৌর মেয়রের কাছ থেকে নাগরিকত্ব প্রত্যয়ন পত্র যাচাই বাছাই করে ফাতেমাকে ছেলে দেলোয়ার হোসেনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এসময় সান্তাহার পৌসভার কাউন্সিলর ও পুলিশ বিভাগের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
গেল মাসের ২০ তারিখের দিকে তিনি ঢাকায় চিকিৎসা করতে গিয়ে ছিলেন। উঠেছিলেন এক আত্মীয়র বাড়িতে। ২৫ তারিখ ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার সময় যশোরের ট্রেন মনে করে ভুলক্রমে উত্তরাঞ্চলের একটি ট্রেনে উঠে পড়েন। পরে সান্তাহার স্টেশনে নেমে যান।
কিন্তু ২৬ তারিখ থেকে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় তিনি আর কোথাও যেতে পারছিলেন না। মাঝেমধ্যেই বাড়িতে ফেরার জন্য কান্নাকাটি করছিলেন।
Leave a reply