বাসস:
পাচার বন্ধে জাতীয় মাছ ইলিশ রফতানির ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হবে বলে জানিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ।
পূর্ণ মন্ত্রী হওয়ার পর নারায়ণ চন্দ্র আজ সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান। এর আগে একই মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, আমরা ইলিশ রফতানির দিকে যেতে চাচ্ছি। আমাদের যেহেতু উৎপাদন হচ্ছে, আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদাও আছে। সেজন্য আমরা কিছুটা রফতানি করতে চাই। রফতানির অনুমতি না দিলেও এ মাছ বিভিন্ন চোরাই পথে চলে যায়। ফলে রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয় রাষ্ট্র। তাই আমরা যদি রফতানি করি, পথটা যদি ওপেন করে দেয়া হয় তাহলে গোপনে যাওয়ার পথ সংকুচিত হবে।
২০১২ সালের ১ আগস্ট রমজান মাসে ইলিশসহ সব ধরণের মাছ রফতানি নিষিদ্ধ করে সরকার। পরে ওই বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর ইলিশ ছাড়া অন্য সব মাছ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ইলিশের ওপর নিষেধাজ্ঞা এখনও বহাল রয়েছে।
‘বাজারে ইলিশের দাম অনেক বেশি, দাম না কমিয়ে কেন ইলিশ রফতানি করতে যাচ্ছে সরকার’ জানতে চাইলে নারায়ণ চন্দ্র বলেন, ‘দাম না কমিয়ে রফতানি করতে চাচ্ছি এ কারণে যে অবৈধভাবে যে সব মাছ যায় সেগুলো বড় আকৃতির, আমাদের মার্কেটে আসে কম। বড় মাছ ফিরিয়ে আনতে হলে গোপন পথ বন্ধ করে সদর পথ চালু করতে হবে।’
ইলিশ পাচারের গোপন পথ বন্ধ করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেন, নৌপুলিশ, নৌবাহিনীসহ বিভিন্ন এজেন্সি অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে। বিজিবির সঙ্গে মিটিং হয়েছে।
ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ হাতে নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রজেক্ট চলছে। বিশেষ করে মা ইলিশ সংরক্ষণের মাধ্যমে ডিম ছাড়ার সুযোগ করে দেওয়া, জাটকা নিধন বন্ধ করার প্রকল্প চলবে। একই সঙ্গে বিচরণ ক্ষেত্রগুলো যাতে সংরক্ষিত থাকে সেক্ষেত্রে ড্রেজিং শুরু হয়েছে অনেক নদীতে। সে কাজটি নৌ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে করা হচ্ছে।
দেশের বাইর থেকে গরুর মাংস আমদানির কোনো প্রয়োজন নেই বলে জানিয়ে তিনি বলেন, এ মুহূর্তে দেশের বাইরে থেকে গরুর মাংস আমদানির কোনো প্রয়োজন নেই। বাজারে গরুর মাংসের দাম কমছে এবং আশা করছি আরো কমবে।
সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রণালয়ের সচিব মাকসুদুল হাসান খানসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন দফতরের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
Leave a reply