করোনাভাইরাসে যুক্তরাষ্ট্রে একদিনে মৃতের সংখ্যা রেকর্ড ছাড়িয়েছে। নতুন করে দেশটিতে প্রাণ গেছে ১ হাজার ৪শ’ জনের। অন্যদিকে, ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৪১৭ জনের মৃত্যুর পর একদিনে প্রাণহানির নতুন রেকর্ড হয়েছে ফ্রান্সও। এ নিয়ে বিশ্বজুড়ে প্রাণহানির সংখ্যা ৮১ হাজার ছাড়ালো; আক্রান্ত ১৪ লাখের বেশি মানুষ।
টানা দু’সপ্তাহ রেকর্ড ভাঙার পর, ইতালি-স্পেনে কিছুটা কমেছে করোনায় সংক্রমণ ও মৃত্যু। প্রাণহানি কিছুটা কমেছে ফ্রান্সেও। তবে যেকোনো সময় পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে যুক্তরাজ্য।
কোভিড নাইনটিন ঝড়ে এ সপ্তাহেই সর্বোচ্চ সংখ্যক মৃত্যু-সংক্রমণ দেখার অপেক্ষায়, মহামারির এখনকার কেন্দ্রস্থল যুক্তরাষ্ট্র। নিউইয়র্কে পাঁচ হাজারের কাছাকাছি মৃত্যু, আর এক লাখ ৩২ হাজার আক্রান্ত হওয়ার পর, অবস্থা খারাপ হচ্ছে অন্যান্য অঞ্চলে। এ অবস্থায় লকডাউন না মানলে শাস্তি বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে বিভিন্ন রাজ্য।
নিউ ইয়র্ক ফায়ার সার্ভিসের লেফটেন্যান্ট প্যারামেডিক অ্যান্থনি আলমোজেরা বলেন, মহামারির প্রায় এক মাস চলছে। এ অবস্থার শেষ কবে, তা এখনও অজানা। মহামারি শেষেও ভয়াবহ এ মানসিক বিপর্যয়ে থেকে কোনোদিন বের হতে পারবো কিনা জানি না।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, কঠিন একটা সপ্তাহের শুরু হলো। এরই মাঝে অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে মার্কিনীদের। হয়তো এক সপ্তাহেও মৃত্যুর মিছিল থামবে না। ভয়াবহ এসময়ের জন্য বেশ কিছুদিন ধরেই প্রস্তুত হচ্ছিল পুরো দেশ। তাই যতোটা ক্ষতি হতে পারতো, ততোটা হবে না। এই মুহূর্তে এটাই বড় পাওয়া।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, সমন্বিত উদ্যোগ বাড়াতে হবে করোনা ঠেকাতে। ছোঁয়াচে ভাইরাসের চিকিৎসায় নিয়োজিত স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা বাড়াতে আবার তাগিদ দিয়েছে সংস্থাটি।
Leave a reply