অপরাধমূলক কাজ দমনে একক ক্রেডিট নিতে গিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কেউ কেউ জীবনের ঝুঁকি নেন। এটি থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, অনেকে তথ্য পাওয়ার পর ক্রেডিট নিতে যান। অবশেষে তাদের জীবন দিতে হয়। বাহিনীর সব অংশের সাথে সমন্বয় করেই অপারেশন করতে হবে। সবার সহযোগিতা নিশ্চিত না হলে জীবনের ঝুঁকি নেয়া যাবে না। প্রয়োজনে গোয়েন্দা তথ্যের সহায়তা নিতে হবে।
গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে জঙ্গি হামলার ঘটনার উদ্হারণ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গুলশান হামলার দিন রোজার সময় ছিল। ওই দিন ভোরে সবাইকে নিয়ে আমরা বৈঠক করেছিলাম। পরে বিভিন্ন তথ্য আদান-প্রদান করে অভিযানের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। ফলে সফলতার সঙ্গে ওই অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব হয়েছিল। অভিযানটা পরিকল্পিতভাবে করা হয়েছিল। তাই কোনও তথ্য পেলেই দ্রুত সংশ্লিষ্টদের জানানো উচিত।’
মঙ্গলবার সকালে, নিজ কার্যালয়ে পুলিশ সুপারদের সাথে বৈঠকে এসব বলেন তিনি। এসময় জঙ্গিবাদ দমনে পুলিশের ভূয়সী প্রশংসা করেন শেখ হাসিনা। বলেন, জঙ্গিবাদ দমনে অনেক উন্নত দেশে হিমশিম খেলেও বাংলাদেশ পুলিশ তা কঠোর হস্তে দমন করেছে। জঙ্গি দমনের মতোই মাদক হঠাতে পুলিশের ভূমিকা আরও বাড়াতে বলেছেন তিনি। মাদক চোরাচালান, সেবন ও এর সাথে জড়িত সব বিষয়ে পুলিশকে আরও কঠোর হওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
জনগণের আস্থা অর্জনে পুলিশ আগের চেয়ে অনেক বেশি সেবামুখী হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। এসময় প্রধানমন্ত্রী পুলিশের সুযোগ সুবিধা বাড়াতে নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন। বলেন, ক্ষমতা উপভোগ করার বিষয় নয়, ক্ষমতা জনগণকে সেবা দেয়ার সুযোগ। আমি এ সুযোগের ব্যবহার করে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কাজ করছি। এর জন্য আইনশৃঙ্খলার উন্নয়ন ও এর সাথে জড়িত সবার মান উন্নয়নে কাজ করছে সরকার।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি আন্দোলনের নামে সারাদেশে জ্বালাও-পোড়াওয়ের যে পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিল, তা থেকে উত্তরণ কঠিন ছিল। কিন্তু পুলিশ সেই কাজটি দক্ষতার সঙ্গে করতে পেরেছে।’
যমুনা অনলাইন: টিএফ
Leave a reply