বাংলাদেশ সরকার দেশব্যাপী ১০ টাকা-কেজি দরে চাল বিক্রির কর্মসূচি স্থগিত করেছে। করোনাভাইরাসে স্বাস্থ্য-ঝুঁকির মুখে দরিদ্রদের সাহায্যার্থে এ কর্মসূচি চালু করা হয়।
কারণ হিসেবে বিবিসি বাংলাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সারোয়ার মাহমুদ জানান, বিশেষ ওএমএস কর্মসূচির আওতায় এই চাল কিনতে গিয়ে বহু মানুষ ভিড় জমাচ্ছিলেন। ফলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হচ্ছিল না এবং জন স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি হচ্ছিল।
সারোয়ার মাহমুদ জানান, পাশাপাশি যারা এই চাল কেনার যোগ্য না তারাও এসে চাল কেনার লাইনে যোগ দিচ্ছিলেন। এসব কারণে চালু হওয়ার সপ্তাহ-খানেক সময়ের মধ্যে ১০ টাকা-কেজি চাল বিক্রির এই বিশেষ কার্যক্রম স্থগিত করা হলো বলে তিনি নিশ্চিত করেন।
একইসাথে বিকল্প পথে পরে এই ওএমএস কর্মসূচি আবার শুরু করার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে বলেও জানান সারোয়ার মাহমুদ। উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসে লকডাউন শুরু হওয়ার পর শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষের সাহায্যে এই বিশেষ কর্মসূচি চালু হয়। ওএমএস-এ প্রতি কেজি চালের দাম ৩০ টাকা হলেও এই বিশেষ কর্মসূচিতে চালের দাম ১০ টাকা নির্ধারিত হয়।
তিনি জানান, আগামী তিন মাসে এই কর্মসূচির আওতায় ৭৪,০০০ মে. টন চাল বিক্রির কথা ছিল। এজন্য ২৫২ কোটি টাকা ভর্তুকির ব্যবস্থাও রাখা হয়েছিল বলে সরকারে জানাচ্ছে। রাজধানী ঢাকাসহ সব সিটি oকর্পোরেশন এবং পৌর এলাকায় এই কর্মসূচিতে এপর্যন্ত ১০,০০০ মেট্রিক টন চাল ইতোমধ্যেই বিক্রি করা হয়েছে বলে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক উল্লেখ করেন।
Leave a reply