প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণের এই সময়ে দুশ্চিন্তা বাড়ছে সন্তানসম্ভবা মায়েদের। সন্তান পৃথিবীর আলো দেখার আগেই মা যদি আক্রান্ত হয়ে পড়েন তবে তা পরিবারের জন্য সত্যি দুর্ভাগ্যের বিষয়।
করোনা সংক্রমণের কারণে মায়েরা সবচেয়ে বেশি আতঙ্কে থাকেন। তাদের সব সময় একটি ভয় কাজ করে তা হলো- এই ভাইরাস মায়ের শরীর থেকে অনাগত সন্তানের শরীর চলে যাবে না তো?
চীনের এক গবেষণায় পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এক বছরের নিচে আক্রান্ত হয়েছে ১১.৮ শতাংশ শিশু। কিন্তু কারও মৃত্যুর খবর নেই। এখনও পর্যন্ত পাওয়া তথ্যে মাত্র দুদিনের মাথায় এক সদ্যোজাতের শরীরে এই ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছে।
কী করবেন?
১. শিশুটিকে জন্মের ঠিক কিছুটা পরে হালকা গরম পানিতে গোসল করাতে হবে। এর ফলে স্পর্শের মাধ্যমে যদি মায়ের শরীর থেকে শিশুর শরীরে এই ভাইরাস গিয়েও থাকে তা পরিষ্কার হয়ে যায়।
২. জন্মের পর মায়ের থেকে সদ্যোজাতকে একটু আলাদা রাখাই ভালো।
৩. মা ও শিশুকে এক ঘরে রাখা যেতে পারে। তবে দুজনের মধ্যে অন্তত ছয় ফুটের ব্যবধান যেন অবশ্যই থাকে।
৪. সদ্যোজাত শিশুটির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলায় মায়ের দুধের বিশেষ ভূমিকা আছে। শিশু মায়ের দুধ খেতে পারবে। তার আগে মায়ের হাত আর স্তন যেন খুব ভাল করে সাবান দিয়ে ধুয়ে নেয়া হয়।
৫. সরাসরি সন্তানকে স্পর্শ না করে কাপড়ের ওপর দিয়ে স্পর্শ করাই শ্রে়য়। মায়ের থেকে শিশুর শরীরে সংক্রমণ এল কিনা দেখার জন্য প্রথম ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নাক ও মুখ থেকে লালারসের নমুনা পাঠাতে হবে পরীক্ষার জন্য। আর দ্বিতীয়টা পাঠাতে হয় ৪৮-৭২ ঘণ্টার মধ্যে। এ ছাড়াও উপযুক্ত পরীক্ষার ব্যবস্থা থাকলে মলদ্বার থেকে নমুনাও পাঠানো যেতে পারে।
৬. হাসপাতালে থাকার সময় যেন এক দুজন বিশেষ ব্যক্তি ছাড়া শিশুটিকে অন্য কেউ স্পর্শ না করে। বাড়িতে ফেরার পরও খুব সতর্ক থাকতে হবে।
৭. শিশুর শরীরে ভাইরাসের অস্তিত্ব যদি নাও পাওয়া যায় তবে তাকে ভিটামিন-ডি ও মাল্টিভিটামিন ড্রপ দিতে হবে।
তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
Leave a reply