বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন ভোলার এক কলেজছাত্রী। চর্ম ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মো. রিয়াদ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেছে ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা। আদালতে জবানবন্দিও দিয়েছেন ঐ তরুণী।
মামলার এজাহারে ভুক্তভোগীর বাবা উল্লেখ করেন, চর্মরোগ নিয়ে তার মেয়েকে, গত বছর ৬ অক্টোবর ভোলার সদর রোডের যমুনা মেডিকেলের ডাক্তার রিয়াদ সিদ্দিকীকে দেখান। প্রথম সাক্ষাতে ডা. রিয়াদ মেয়েকে জোর করে বিবস্ত্র করে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় মলম (ওষুধ) লাগায়।
এরপর ২৯ ডিসেম্বর ফের চিকিৎসা নিতে গেলে ডাক্তার রিয়াদ তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। চিৎকার করলে মুখ ওড়না দিয়ে বেঁধে ফেলে। বিষয়টি কাউকে জানালে ধর্ষণের ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেয় ডাক্তার।
পরদিন, ডাক্তার ছাত্রীর বাবাকে ফোন করে জরুরি ভিত্তিতে ঢাকায় আসতে বলেন। মেয়েটির বাবা-মা তাকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে আনলে বি-ব্লকের ৪র্থ তলায় একটি নির্জন রুমে নিয়ে ফের ধর্ষণ করে ডাক্তার রিয়াদ।
লজ্জায় এতদিন চুপ থাকার পর সম্প্রতি ধর্ষণের কথা বাবা-মাকে জানায় কলেজছাত্রীটি। সোমবার ঐ ডাক্তারের বিরুদ্ধে মামলা করেন ছাত্রীর বাবা। মঙ্গলবার বিকেলে সিএমএম কোর্টে জবানবন্দি দেয় মেয়েটি। তবে, এখনো আটক হয়নি ডাক্তার রিয়াদ।
যমুনা অনলাইন: টিএফ
Leave a reply