এবার সৌদি আরব থেকে সাময়িকভাবে তেল কেনা বন্ধের কথা ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি বিশ্বব্যাপী লকডাউনের কারণে জ্বালানী তেলের ব্যবহার প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে যাওয়ায় প্রচুর তেল জমা হচ্ছে। দাম নেমে গেছে শূণ্য ডলারেরও নিচে। এরফলেই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তেল বিক্রি না হওয়ায়, সব দেশেই ট্যাঙ্কারেই জমছে তেল। এ অবস্থায় দু’এক সপ্তাহের মধ্যে তেল রাখার সব জায়গা পূর্ণ হয়ে যাবে, বলে আশঙ্কা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর। ফলে এখন তেল কিনলে দাম তো দিতেই হবে না, উল্টো ক্রেতাদের প্রণোদনা দিতে হচ্ছে উৎপাদকদের।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, “লকডাউন আজীবন থাকবে না। শিগগিরই তেলের চাহিদা আগের জায়গায় পৌঁছাবে। তাই মজুদের জায়গা করতে পারলে তেল কেনার সেরা সময় এখন। আমাদের প্রায় সাড়ে সাত কোটি ব্যারেল তেল মজুদের সক্ষমতা রয়েছে। এটা পূর্ণ হলে সৌদি আরবের কাছ থেকে তেল কেনা সাময়িক বন্ধের ব্যাপারে ভাবা যেতে পারে।”
জ্বালানি তেল বিষয়ক বিশেষজ্ঞ জিম বুর্খার্দ বলেন,”মানুষ গাড়ি চালাচ্ছে না। আকাশে বিমান উড়ছে না। প্রচুর তেল অব্যবহৃত পড়ে আছে। এগুলো রাখার একটা জায়গা তো করতে হবে। মজুদের সক্ষমতা এতোই কম পড়ে গেছে, যে তেল বিক্রির জন্য উল্টো পয়সা দিতে হচ্ছে উৎপাদকদের। তেলের কোনো দরকারই নেই যেখানে, সেখানে ক্রেতা টানতে এছাড়া উপায়ও নেই।”
ফার্গো ইনভেস্টমেন্ট ইনস্টিটিউট’র বিশেষজ্ঞ পল ক্রিস্টোফার বলেন, “চাহিদা-যোগানের ব্যাপক ভারসাম্যহীনতা লক্ষ্য করছি আমরা। একথা ঠিক যে অতি যোগানের কারণে সৃষ্ট সমস্যা সাময়িক। কিন্তু এখনকার সামগ্রিক যে পরিস্থিতি, এর রেশ কাটবে কতোদিনে তা বলা মুশকিল। হয়তো চূড়ান্ত পতন এখনও আমরা দেখিইনি।”
তেলের বাজারে নজিরবিহীন সংকটের ধাক্কা লেগেছে মার্কিন পুঁজিবাজারেও।
Leave a reply