ভারতে আগামী মে মাসের মাঝামাঝিতে করোনাভাইরাস আরও ভয়াবহ হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছেন গবেষকরা। প্রতিভিটি নামের একটি বৈশ্বিক কনসাল্টিং ফার্ম জানিয়েছে, ভারতে মে মাসের মাঝামাঝিতে করোনা আরও ভয়াবহ হবে।
ইতিমধ্যে দেশটির বাণিজ্যিক রাজধানীখ্যাত মুম্বাইয়ে অবস্থিত এশিয়ার বৃহত্তম ধারাবি বস্তিতে থাবা বসিয়েছে করোনাভাইরাস। ওই বস্তিতে ১০ লাখের বেশি মানুষের বসবাস এবং সবাই এখন ঝুঁকিতে বলে জানা গেছে।
গবেষকরা বলছেন, ধারাবি থেকে পরমাণু বোমার মতো বিস্ফোরণ ঘটাবে করোনা। বস্তির প্রতি বর্গকিলোমিটারে মানুষের ঘনত্ব ২ লাখ ৮০ হাজার; যা যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের চেয়ে তিনগুণ বেশি।
অথচ সরকারের পদক্ষেপ সেখানে নামমাত্র। ভাইরাস মোকাবেলায় বস্তিটির বাসিন্দারা নিজেরাই লকডাউন প্রতিবন্ধকতা গড়েছেন।
প্রবেশপথে ভাঙা সাইকেল, বড় বড় লাঠি বেঁধে ব্যারিকেড তৈরি করেছেন। সেখানের বাসিন্দারা খাদ্য অভাবে রয়েছেন এবং ত্রাণের ওপরই নির্ভর করছেন।
দুর্বল পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা ও জনঘনত্বের কারণে করোনাভাইরাসের চরম ঝুঁকিতে রয়েছে বস্তিটি। একই টয়লেট শত শত মানুষ ব্যবহার করে। পরিষ্কার পানির কোনো নিশ্চয়তা এখানে নেই। সাবান এখানের বিলাসিতা।
ঝাড়খন্ড থেকে আসা শ্রমিক নামচান্দ মন্ডল বলেন, যে কোনো কিছুই ঘটতে পারে। আমাদের কক্ষে নয়জনের বাস, সবাই ঝুঁকিতে রয়েছি।
ধারাবিতে বুধবার নতুন করে ১২ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। সেখানে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১৭৯ জন এবং মারা গেছেন ১২ জন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ সংখ্যা আরও বেশি বৃদ্ধি পাবে। ‘আমি খুবই উদ্বিগ্ন, এ বস্তিতে আক্রান্ত বাড়বে, এটা শুধু সময়ের ব্যাপার মাত্র’, বলেছেন ভাইরাস বিশেষজ্ঞ শহীদ জামিল।
মাস্কের মতো প্রধান সুরক্ষা সরঞ্জামেরও চরম অভাব। এজন্য রুমাল ও শার্টের ছেঁড়া কাপড় মুখে বেঁধে নিচ্ছেন বস্তিবাসীরা।
বস্তির প্রবেশপথে গরুর গাড়ি, সাইকেল ও বড় বড় লাঠি রেখে ব্যারিকেড তৈরি করছেন অনেকে। সেখানে লকডাউনবিধি মানতে বাধ্য করাও কঠিন।
পুলিশের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অনেকে দোকানপাট খোলেন। এক দর্জি দোকানদার বলেন, পুলিশ আসার আগে কিছু আয় করতে পারি কি না দেখি।
Leave a reply