করোনা সঙ্কটের মধ্যেই গ্যাস দুর্ঘটনা নিয়ে তোলপাড় চলছে ভারতে। অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্নমে এল জি পলিমার্স নামক একটি কারখানায় গ্যাস লিক হয়ে অন্তত ১৩ জনের মৃত্যুর পর বিক্ষোভ হয় রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে।
লকডাউন ভেঙ্গে প্রতিবাদের সময় পুলিশ এবং কারখানার নিরাপত্তা কর্মীদের সাথে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়ান বিক্ষোভকারীরা। দাবী, কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণেই এই দুর্ঘটনা হয়েছে।
লকডাউন ভেঙ্গে মরদেহ নিয়ে এভাবেই বিশাখাপত্নমে বিক্ষোভ করেন গ্যাস দুর্ঘটনায় নিহতদের স্বজনেরা। দাবি দুর্ঘটনার সাথে জড়িতদের শাস্তি। এ সময় এল জি পলিমার্স এর নিরাপত্তা কর্মী এবং পুলিশের সাথে দফায় দফায় সংঘর্ষেও জড়ান বিক্ষোভকারীরা।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ভোরে কারখানা থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে বিষাক্ত স্টাইরিন গ্যাস। বাড়ির ভেতরেই অচেতন হয়ে পড়ে বহু মানুষ। ঘরের দরজা ভেঙ্গে উদ্ধার করা হয় অনেক লোককে। লকডাউন থাকায় বন্ধ ছিলো কারখানা। গভীর রাতে কারখানার গ্যাস লাইনে ছিদ্র হয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ডা. সুধাকর (প্রধান চিকিৎসক, অন্ধ্র মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল) জানান, গ্যাসের কারণে ওই অঞ্চলের অনেকেরই শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। অসুস্থ ৪৮ শিশুকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য ১৯৮৪ সালে ভারতের ভোপালে একটি কীটনাশক কারখানা থেকে একইভাবে বিষাক্ত গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে। যাতে প্রাণ যায় প্রায় ১৫ হাজার মানুষের।
Leave a reply