স্টাফ রিপোর্টার, মাদারীপুর:
মাদারীপুরের শিবচরে বাড়ির পাশের বাগান থেকে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। লাশের নাক ও চোখে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। শরীর ছিল রক্তেভেজা। পরিবারের দাবি পূর্ব শক্রতার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, জেলার শিবচর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের ফালু মাদবরকান্দি গ্রামের কালাম ঘরামীকে (৩০) বুধবার রাতে তার চাচাতো ভাই হারুন ঘরামী কথা আছে বলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে যায়। দীর্ঘ সময় পার হলেও কালাম আর ঘরে ফিরে আসেনি। ভোর রাতে সাহরির সময় তার পরিবারের লোকজন হারুন ঘরামীর কাছে কালাম ঘরামী কোথায় আছে জানতে চাইলে হারুন কথা এড়িয়ে গিয়ে জানি না বলে দেয়।
পরে বৃহস্পতিবার ভোরে বাড়ির পাশের বাগানে কালাম ঘরামীর মরদেহ দেখতে পায় এলাকাবাসী। পরিবারের লোকজন এসে মরদেহটি দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশটি উদ্ধার করে। লাশের শরীর ছিল রক্তে ভেজা। নাক ও চোখে রয়েছে আঘাতের চিহ্ন। এমনটিই পুলিশ জানিয়েছে।
নিহত কালাম ঘরামী ফালু মাদবরকান্দি গ্রামের নূরু ঘরামীর ছেলে। নিহতের চাচাতো ভাই হারুন ঘরামীদের সাথে তাদের জমি সংক্রান্ত বিরোধ থাকায় কালামকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে তার পরিবার অভিযোগ করেন।
নিহত কালাম ঘরামীর বাবা নুরু ঘরামী বলেন, জমাজমি নিয়ে তার ভাতিজা হারুন ঘরামীর সাথে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলছে। গতকাল রাত সাড়ে ১১টার সময় হারুন আমার ছেলেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর সকালে বাগানের ভিতর তার লাশ পাওয়া যায়। হারুনই আমার ছেলেকে হত্যা করেছে। আমি এর বিচার চাই।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী এসআই রবিউল বলেন, আমরা লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেছি। লাশের নাক ও চোখে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
শিবচর থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘পরিবার ও এলাকাবাসী খবর দিলে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।’
Leave a reply