জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান অধ্যাপক মমতাজ বেগম আর নেই

|

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান, ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমানের সহধর্মিণী, বীর মুক্তিযোদ্ধা, বেগম রোকেয়া পদকপ্রাপ্ত, জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান ও সাবেক এমএনএ অধ্যাপক মমতাজ বেগম ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)।

শনিবার দিবাগত রাত ১২ টা ২০ মিনিটে রাজধানীর ধানমন্ডি ( নর্থ রোড) এর নিজ বাসায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

অধ্যাপক মমতাজ বেগম এডভোকেট ১৯৪৬ সালে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম আব্দুল গণি ভূইয়া ও মায়ের নাম জাহানারা বেগম। তিনি ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয় থেকে এমএ দর্শন ও এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, ঢাকায় উপাধ্যক্ষ হিসেব দায়িত্ব পালন করেন ও আইনপেশায় নিয়োজিত ছিলেন।

অধ্যাপক মমতাজ বেগম এডভোকেট ২০০৯ সাল থেকে জাতীয় মহিলা সংস্থার দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, স্বাধীন বাংলাদেশের গণপরিষদের সদস্য ও প্রাক্তন সংসদ সদস্য।

অধ্যাপক মমতাজ বেগম দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭২ সালে স্বাধীনতার মহান স্থপতি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সদিচ্ছা ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে মহান মুক্তিযুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত ও নির্যাতিত মহিলাদের পূনর্বাসনের জন্য ‘নারী পূনর্বাসন বোর্ড’ গঠিত হলে সেই বোর্ডের পরিচালক হন এবং বাংলাদেশ মহিলা সমিতির কার্যকরী কমিটির সদস্য হিসাবে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের ক্ষতিগ্রস্ত মহিলাদের পূর্নবাসনে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। ১৯৭৩ সালে জাতীয় সংসদের সাংসদ (এমপি) হন। ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন। ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ মহিলা ফ্রন্ট এর সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৮সালে বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগ এর যুগ্ম আহবায়ক নির্বাচিত হন। তিনি সমাজ কল্যাণ সম্পাদক জাতীয় আইনজীবী সমিতি, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক সমিতি ও সহ-সভাপতি বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) এসোসিয়েশনের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি ১৯৭২ সাল থেকে বাংলাদেশ মহিলা সমিতির সদস্য। এছাড়া লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। রেডক্রস সোসাইটি বাংলাদেশ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই অ্যাসোসিয়েশন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দর্শণ বিভাগ এলামনাই অ্যাসোসিয়েশন-এর আজীবন সদস্য ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ মহিলা সমিতি, নারী প্রগতি সংঘ, নৌ কমান্ডো এসোসিয়েশন ও নারীকন্ঠ থেকে বিভিন্ন সম্মাননা লাভ করেন।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply