হবিগঞ্জ প্রতিনিধি:
হবিগঞ্জের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান থেকে এক পিকআপ চালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তারা হলেন, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার কাদির মিয়ার ছেলে আলাউদ্দিন ও হবিগঞ্জ শহরতলীর যশেরআব্দা এলাকার তাজু মিয়ার ছেলে বাবুল মিয়া। পুলিশ জানিয়েছে, বাবুলই হত্যাকান্ডের মূল পরিকল্পনাকারী।
আটককৃতদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনার পাঁচদিন পর আজ বিকেলে চালকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত সাগর সরকার(১৮) হবিগঞ্জ শহরের ঘাটিয়া এলাকার প্রদীপ সরকারের ছেলে। সাগরকে হাত-পা বেঁধে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর গাড়ি ছিনতাই করেছে চক্রটি।
গত ১০ মে সাগর নিখোঁজ হয়েছে জানিয়ে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন তার বাবা। এ নিয়ে তদন্তে নামলে তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে পুলিশের সন্দেহ সৃষ্টি হয় বাবুল ও আলাউদ্দিনকে ঘিরে। এক পর্যায়ে বাবুলকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের পর হত্যার কথা স্বীকার করে সে। পরে আটক করা হয় আলাউদ্দিনকে। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে আজ পুলিশ সাতছড়ি থেকে গলিত মরদেহটি উদ্ধার করে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম জানান, হবিগঞ্জ শহরের কবির মিয়ার গাড়ি চালাতেন নিহত সাগর এবং ঘাতক বাবুল। পরিকল্পনা অনুযায়ী বাবুল, আলাউদ্দিনসহ একটি চক্র ভাড়ার নাম করে সাগরসহ তার গাড়িটি সাতছড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে হাত-পা বেঁধে গামছা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর গাড়ি নিয়ে মাধবপুরে মনতলায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় চলে যায় তারা। পরবর্তীতে গাড়িটি জব্দ ও দুইজনকে আটক করলে হত্যাকান্ডের রহস্যের জট খুলতে থাকে।
তিনি আরো জানান, বিষয়টি নিয়ে গুরুত্বের সাথে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। হত্যাকান্ডে আরো লোকজন জড়িতে থাকতে পারে বলে তাদের ধারণা। সেই সাথে সাগর হত্যার পেছনে অন্য কোন কারণ রয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
Leave a reply