ঘূর্ণিঝড় আম্পানের ধ্বংসলীলা ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। আম্পান নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন আবহবিদরা। আশঙ্কা বুধবার ওই ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৮৫ কিমি পর্যন্ত হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে তৎপর রেলও। ঘটনাটি দেখা গেছে ভারতের বিভিন্ন রেল স্টেশনে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকা।
লকডাউনের জেরে গত ২৫ মার্চ থেকেই পুরোপুরি স্তব্ধ ভারতের স্বাভাবিক রেল পরিষেবা। কিন্তু বিভিন্ন স্টেশনে দাঁড়িয়ে রয়েছে একাধিক ট্রেন। এর মধ্যেই বিপুল গতি নিয়ে ওড়িশা ও এ রাজ্যের উপকূলবর্তী সীমানায় হাজির ঘূর্ণিঝড় আম্পান। সেই ঝড়ে বিপুল ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কাও রয়েছে।
স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনগুলি যাতে কোনও বিপদ না ঘটায় সে জন্য আগেভাগেই সতর্ক রেল। সে কারণেই দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনগুলির চাকা শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। পূর্ব ও দক্ষিণ পূর্ব রেলের হাওড়া, শিয়ালদহ ডিভিশনের বহু স্টেশনেই দেখা গিয়েছে এমন ছবি।
কেনো ট্রেনের চাকা শিকল দিয়ে বাঁধা হয়েছে? রেল কর্তৃপক্ষের ব্যাখ্যা, দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনগুলি ঝড়ের দাপটে কোনও কারণে নিজের অবস্থান থেকে সরে গেলে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই আগাম সতর্কতা হিসাবে ট্রেনের চাকাগুলি বেঁধে রাখা হয়েছে। তবে শুধু ঝড়ের ক্ষেত্রেই নয়, ট্রেন কোনও কারণে দীর্ঘক্ষণ দাঁড় করিয়ে রাখা হলে তার চাকা এ ভাবেই বেঁধে রাখা হয় বলেই জানিয়েছেন রেলের কর্মকর্তারা।
লক-ডাউনের মধ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরাতে ‘শ্রমিক স্পেশাল’ চালানোর উদ্যোগ নিয়েছিল রেল। চালানো হচ্ছিল এসই স্পেশাল এক্সপ্রেসও। কিন্তু ঘূর্ণিঝড়ের আগাম সতর্কবার্তা পেয়ে ওই ট্রেনগুলি আপাতত বাতিল করা হয়েছে। এ দিন হাওড়া থেকে নয়া-দিল্লিগামী আপ এসই স্পেশাল এক্সপ্রেস বাতিল করা হয়েছে। স্থগিত করা হয়েছে বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লী থেকে হাওড়া ডাউন এসই স্পেশাল এক্সপ্রেসের যাত্রাও। মঙ্গলবারও দু’টি ট্রেন বাতিল করা হয়।
Leave a reply