পাবনা প্রতিনিধি :
শুক্রবার সকাল আটটার দিকে পাবনার নিজ বাড়িতে স্ট্রোক করে মারা যান নুরুজ্জামান নুরু খান। এরপর দীর্ঘ সময় পর্যন্ত লাশটি পড়ে ছিল বিছানাতেই। কিন্তু করোনা আতঙ্কে লাশটির কাছে যায়নি কেউ। এমনকি পরিবারের সদস্যরা পর্যন্ত লাশটি ফেলে দাড়িয়ে ছিলেন বেশ দূরে। গোসল পর্যন্ত করাতে যায়নি কেউ। তিনি দীর্ঘদিন ডায়াবেটিকস ও উচ্চ রক্তচাপে ভুগছিলেন।
পাবনা সদর থানার গয়েশপুর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের ধোপাদহ গ্রামের ঘটনা এটি। পরে যমুনা টিভির পাবনা প্রতিনিধি সনম রহমান উদ্যোগ নিয়ে তহুরা আজিজ ফাউন্ডেশনকে বিষয়টি জানালে ফাউন্ডেশনের পরিচালক সমাজকর্মী দেওয়ান মাহবুব এবং নাট্যকর্মী শিশির ইসলাম সেখানে ছুটে যান। সে বাড়িতে গিয়ে বিছানা থেকে মরদেহ তুলে ইসলামী শরিয়ত অনুযায়ী লাশটি গোসল করান দেওয়ান মাহবুব ও শিশির ইসলাম। স্থানীয় কোনো মানুষ এসময় তাদেরকে সহায়তা করতেও এগিয়ে আসেনি। স্থানীয় ইমাম সাহেবও গোসল করাতে আসেননি। তবে তিনি দুর থেকে দাঁড়িয়ে মাহবুব ও শিশিরকে সকল প্রক্রিয়া সম্পর্কে ধারণা দিয়ে সহযোগিতা করেন।
এরপর বিকেল চারটায় স্থানীয় মসজিদে স্বল্প কয়েকজনের উপস্থিতিতে জানাজা শেষে তাকে স্থানীয় গোরস্থানে দাফন করা হয়।
সমস্ত কাজ শেষ করে সনম রহমান, দেওয়ান মাহবুব ও শিশির ইসলাম ঐ গ্রাম থেকে ফেরার সময়েও কোন মানুষ তাদের আশেপাশে ভেড়েনি। এমনকি কোনো ভ্যানচালক ভয়ে তাদেরকে ভ্যানে তোলেননি।
লাশ দাফনের উদ্যোগ সম্পর্কে তারা জানান, ডায়াবেটিকস ও উচ্চ রক্তচাপে ভোগা মানুষটি স্ট্রোক করে মারা গেছেন। কিন্তু তার লাশটা কেউ দাফনে এগিয়ে এলো না। এমন অমানবিকতা কখনই কাম্য নয়।
জেলা পুলিশ ও স্বাস্থ্য বিভাগকে অবহিত করেই মৃতের গোসল, জানাজা ও দাফন সম্পন্ন করা হযয়।
Leave a reply