মঙ্গলবার দুপুরে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে ঝড়ো হাওয়ার কবলে পড়ে নৌকাডুবিতে ৫ জন নিহত হয়েছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছে অন্তত ১১ জন। নিহতের স্বজনেরা বুধবার সকাল থেকেই নদীর পাড়ে অপেক্ষা করছেন স্বজনকে শেষ দেখা দেখবার আশায়। এদিকে ফায়ার সার্ভিস ও বিআইডাব্লিউটিএর ডুবুরি দল সকাল থেকে উদ্ধার কাজ শুরু করেন।
মঙ্গলবারের নৌকাডুবিতে নিখোঁজ গার্মেন্টস শ্রমিক ভাই আল আমীনকে খুঁজতে ভোর থেকেই এনায়েতপুর নৌকা ঘাটে বসে আছে বড়বোন মদিনা আর ভাই রহমত আলী। মঙ্গলবার সকালে মোবাইলে একবার কথা হলেও আর খোঁজ পাননি প্রিয় ভাইটির। ভাইটিকে দেখবার আশায় এখনো বসে আছেন মদিনা। জানেন কখন দেখা পাবেন কিন। এভাবে নিখোঁজের স্বজনরা বসে আছে নদীর পাড়ে।
আর প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অতিরিক্ত যাত্রী আর বৈরী আবহাওয়ায় নৌকাটি তাল সামলাতে না পারার কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশ জানায়, ঘটনার পর থেকেই স্থানীয়রা উদ্ধারকাজে সহায়তা করছে। আর অন্যান্য দপ্তরের সাথে যৌথভাবে কাজ করছে পুলিশ।
ফায়ার সার্ভিসে উপ-সহকারী পরিচালক মঞ্জিল হক জানান, নৌযান আইন না মানার কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটে। তবে নিখোঁজ সকলে সন্ধান না পাওয়া পর্যন্ত এ উদ্ধার কাজ অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
২০১৪ সালেও চৌহালীতে নৌকাডুবিতে ৭ জন নিহত হয়।
Leave a reply