আত্মসমর্পণ করেছে সুন্দরবনের ত্রাস আরও ৩টি দস্যুবাহিনী। এ বাহিনীগুলো হলো বড় ভাই, ভাই ভাই ও সুমন বাহিনী।
মঙ্গলবার বেলা পৌণে ৪টায় বাহিনীর ৩৮ জন সদস্য একে একে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁনের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে অস্ত্র-গুলি জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করেছেন। আত্মসমর্পনের প্রক্রিয়াটি তদারকি করেছে র্যাব। বরাবরের মতো আত্মসমর্পণ প্রক্রিয়ায় মধ্যস্থতা করেছেন যমুনা টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি মোহসীন-উল হাকিম।
আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন র্যাবের মহাপরিচালক ও উপকূলে দস্যুদমনে গঠিত টাস্কফোর্সের কমান্ডার বেনজীর আহমেদসহ প্রশাসনও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, আমরা এসব আত্মসমর্পণকারী দস্যুদের পুনর্বাসনে ব্যবস্থা নিচ্ছি। তারা যেন স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে সেজন্য আর্থিক সহায়তা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমরা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়েছি।
র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেন, সুন্দরবনের দস্যু বাহিনীগুলোর আত্মসমর্পণ প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপনকারীদের মুখোশ উন্মোচন করা হবে। দস্যুবৃত্তির সুবিধা যারা নিতো তারাই গণমাধ্যমে এমন কথা বলার চেষ্টা করছেন বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ১৭টি দস্যু বাহিনীর ১৯০ জন সদস্য সরকারের কাছে আত্মসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছেন। জমা দিয়েছেন ৩২৭টি অস্ত্র ও প্রায় ১৮ হাজার রাউন্ড গুলি।
২০১৬ সালের ৩১ মে ৫২টি অস্ত্র ও সাড়ে ৫ হাজার গুলিসহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আত্মসমর্পণ করে সুন্দরবনের দস্যু মাস্টার বাহিনীর ১০ জন সদস্য। প্রথমবারের মতো কোনো ধরনের গোলাগুলি ও রক্তপাতহীনভাবে একটি দস্যুবাহিনীর আত্মসমর্পণ! আর এ আত্মসমর্পণের ঘটনায় মধ্যস্থতা করেছেন একজন সংবাদকর্মী, যমুনা টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি মোহসীন-উল হাকিম।
এভাবে, একজন সাংবাদিকের মধ্যস্থতায় একে একে দস্যুবাহিনীর আত্মসমর্পণের ঘটনা সারাদেশে আলোড়ন তুলেছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও উঠে আসে একজন সাংবাদিকের এমন সাফল্যের গল্প। মোহসীন হাকিমের অর্জন নিয়ে (সুন্দরবনে শান্তি ফেরালেন যে সাংবাদিক) সংবাদ প্রচার করে বিবিসি।
যমুনা অনলাইন: টিএফ
Leave a reply