ফরিদপুরে সন্ত্রাসী হামলায় একই পরিবারের ১২ জন আহত

|

ফরিদপুর প্রতিনিধি:

ফরিদপুরে একই পরিবারের ১২ জনকে কুপিয়ে আহত করেছে সন্ত্রাসীরা। আহত অবস্থায় সকলকেই ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে গুরুতর ৬ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৯ মে) বিকেলে ফরিদপুর শহরের খাবাসপুর এলাকায় একদল সন্ত্রাসী হামলা করে বাড়ি ভাঙচুর ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ওই পরিবারের নারী ও শিশুসহ ১২ জনকে কুপিয়ে জখম করে। এ সময় একটি প্রাইভেটকারসহ ওই বাড়ির গুরুত্বপূর্ণ মালামাল ভাঙচুর করা হয়।

আহতদের মধ্যে বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদ ফরিদপুরের সাধারণ সম্পাদক অহিদুর রহমান ও মাদক বিরোধী সংগঠন ” নবরাজ যুব সংগঠন ” এর সভাপতি মাহবুব আলম মনির ও তার মা হাসিনা বেগম এর অবস্থা আশংকাজনক। এদের মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের মারাত্মক আঘাত রয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।

মাদক ব্যবসায় বাধা হওয়ায় মাদক কারবারিরা এ হামলা করেছে বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্ত ওই পরিবারের সদস্যদের।

আহত মাহবুব আলম মনির জানান, এলাকার মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণে নব জাগরণ নামের সংগঠন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই পার্শ্ববর্তী চর কমলাপুর এলাকার মাদক কারবারিরা ক্ষিপ্ত ছিল। এরই সূত্র ধরে শুক্রবার মসজিদে নামাজ শেষে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ইস্যু তৈরি করে বাগবিতণ্ডা শুরু করে এক মাদক কারবারি।

এলাকাবাসী এগিয়ে এসে বিবাদ থামিয়ে দিয়ে তাদেরকে হুঁশিয়ার করে দিলে তারা চলে যায়। দুপুরের পর পর ওই মাদক ব্যবসায়ীর নেতৃত্বে কিশোর বয়সী প্রায় ৭০/৮০ জন লোক ওই বাড়িতে এসে অতর্কিত হামলা চালায়।

হামলাকারীদের ধারালো অস্ত্রের ( রাম দা) আঘাতে অহিদুজ্জামান, তার ভাই জাহিদুর রহমান, মাহবুব আলম মনির, শান্ত, তাদের মা হাসিনা বেগম, বোন রোখসানা বেগম, ভাগনে মানিক হোসেন ও জনি মোল্লা, অহিদ এর স্ত্রী শিল্পী বেগম, জাহিদ এর স্ত্রী লিপি আক্তার, আড়াই বছর বয়সী মাঈশা আক্তার এবং মনিরের স্ত্রী রত্না বেগম আহত হয়।

ফরিদপুর কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোর্শেদ আলম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। তিনি জানান, অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply