গাইবান্ধায় মাছ বাজার ও শেডের ১৮টি দোকান ভাঙচুর, প্রতিবাদে ইউএনও অফিস ঘেরাও

|

গাইবান্ধা প্রতিনিধি:

গাইবান্ধার সাঘাটায় মাছ বাজারে মৎস্যজীবিদের একটি শেড ঘরের ১৮টি দোকান ভেঙ্গে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় হাট ইজারাদার ও তার লোকজনকে দায়ী করেছেন মৎস্যজীবিরা।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৩টি হাতুড়ি ও ২টি শাবল উদ্ধার করেছে। শুক্রবার মধ্যরাতে সাঘাটা উপজেলার বোনারপাড়া বাজারে এ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার দুপুরে অনির্দিষ্টকালের জন্য মাছ বিক্রি বন্ধ ঘোষণা করে মৎসজীবীরা। পরে মৎসজীবীরা সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় ঘেরাও এবং মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।

ঘণ্টাব্যাপী চলা মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বোনারপাড়া হাট-ইজারাদার তাদের কাছ থেকে বাড়তি টাকা দাবি করেন। টাকা না দেওয়ার কারণে শুক্রবার রাতে পরিকল্পনা করে তাদের দোকানগুলো ভেঙ্গে দেয়। তারা আরও বলেন, অনেক কষ্ট করে আমরা জীবিকা নির্বাহ করে আসছি। সরকারি টোল হিসেবে প্রতিদিন ২৫ টাকা হিসেবে খাজনা দিয়ে আসছি। কিন্তু তাদের কোন খাজনার রশিদ না দিয়ে হাট ইজারাদার বেশি করে খাজনার দাবি করে আসছে। বেশি করে খাজনা না দেওয়ায় এই ভাঙচুরের ঘটনা ঘটানো হয়। যতক্ষন পর্যন্ত এই দোকান ভাঙচুরের সুষ্ঠ বিচার না হবে ততক্ষন পর্যন্ত এই উপজেলার বোনারপাড়ায় মাছ বিক্রি বন্ধ থাকবে বলেও ঘোষণা দেয় বক্তারা।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সাঘাটা উপজেলা মৎসজীবি সমিতির সভাপতি সুবাস চন্দ্র দাস, সাধারণ সম্পাদক রামলাল চন্দ্র দাস, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শচীন চন্দ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মংলা চন্দ্র প্রমুখ।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে হাট ইজারাদার মো. ফয়জার রহমান জানান, মাছের হাট ভাঙ্গার বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। একটি মহল তাকে হয়রানি করতে মিথ্যা অভিযোগ করছেন।

এ বিষয়ে সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর জানান, মাছ বাজার ও দোকান ভাঙচুরের ঘটনাটি সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।

বোনারপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এনায়েত কবির জানান, ঘটনাস্থল থেকে ৩টি হাতুড়ি ও ২ টি শাবল উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply